9. তেমনি তোমরা যদি জিহ্বা দ্বারা, যা সহজে বোঝা যায়, এমন কথা না বল, তবে কি বলা হচ্ছে, তা কিসে জানা যাবে? বরঞ্চ তোমাদের কথা আকাশকেই বলা হবে।
10. হয় তো দুনিয়াতে অনেক প্রকার ভাষা আছে, আর ভাষাবিহীন কিছুই নেই।
11. ভাল, আমি যদি ভাষার বিশেষের অর্থ না জানি, তবে যে জন বলে, তার পক্ষে আমি বিদেশীর মত হব এবং আমার পক্ষে সেই বক্তাও তা-ই হবে।
12. অতএব তোমরা যখন নানা রকম রূহানিক বর প্রাপ্ত হতে চাও, তখন যে বর দ্বারা মণ্ডলীকে গেঁথে তোলা যায় সেই রকম বর লাভ করতে চেষ্টা কর।
13. এজন্য যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে সে মুনাজাত করুক, যেন সে তার অর্থ বুঝিয়ে দিতে পারে।
14. কেননা যদি আমি বিশেষ ভাষায় মুনাজাত করি, তবে আমার রূহ্ মুনাজাত করে, কিন্তু আমার বুদ্ধি কোন কাজ করে না।
15. তবে দাঁড়াল কি? আমি রূহে মুনাজাত করবো, বুদ্ধিতেও মুনাজাত করবো; রূহে কাওয়ালী গাইব, বুদ্ধিতেও কাওয়ালী গাইব।
16. নতুবা যদি তুমি রূহে শুকরিয়া দাও, তবে যে ব্যক্তি সামান্য শ্রোতার স্থান পূর্ণ করে, সে কেমন করে তোমার শুকরিয়াতে ‘আমিন’ বলবে? তুমি কি বলছো, তা তো সে জানে না।
17. কারণ তুমি সুন্দররূপে শুকরিয়া দিচ্ছ বটে, কিন্তু সেই ব্যক্তিকে গড়ে তোলা হয় না।
18. আমি আল্লাহ্র শুকরিয়া করছি যে, তোমাদের সকলের অপেক্ষা আমি বেশী ভাষায় কথা বলে থাকি;
19. কিন্তু মণ্ডলীর মধ্যে, বিশেষ ভাষায় দশ সহস্র কথা বলার চেয়ে, বরং বুদ্ধি দ্বারা পাঁচটি কথা বলতে চাই যেন অন্য লোকদেরও শিক্ষা দিতে পারি।
20. ভাইয়েরা, তোমরা বুদ্ধিতে বালক হয়ো না, বরঞ্চ মন্দ বিষয়ে শিশুদের মত হও, কিন্তু বুদ্ধিতে পরিপক্ক হও।
21. শরীয়তে লেখা আছে, “আমি পরভাষীদের দ্বারা এবং পরদেশীদের মুখ দিয়ে এই জাতির কাছে কথা বলবো, কিন্তু তা করলেও তারা আমার কথা শুনবে না, এই কথা প্রভু বলেন।”
22. অতএব সেই বিশেষ বিশেষ ভাষা ঈমানদারদের জন্য নয়, বরং অ-ঈমানদারদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভবিষ্যদ্বাণী অ-ঈমানদারদের জন্য নয়, বরং ঈমানদারদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ।