5. আমি চাই, যেন তোমরা সকলে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে পার, কিন্তু এর চেয়ে অধিক পরিমাণে চাই যেন ভবিষ্যদ্বাণী বলতে পার; কেননা যে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, মণ্ডলীকে গেঁথে তুলবার জন্য সে যদি অর্থ বুঝিয়ে না দেয়, তবে যে ভবিষ্যদ্বাণী বলে সে তার চেয়ে মহান।
6. এখন, হে ভাইয়েরা, আমি তোমাদের কাছে এসে যদি বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলি, কিন্তু তোমাদের কাছে আল্লাহ্র সত্য প্রকাশের কথা কিংবা জ্ঞান কিংবা ভবিষ্যদ্বাণী কিংবা উপদেশক্রমে কথা না বলি, তবে আমার কাছ থেকে তোমাদের কি উপকার হবে?
7. বাঁশী হোক, কি বীণা হোক, ধ্বনিযুক্ত নিষপ্রাণ বস্তুও যদি তালমান না রেখে বাজে, তবে বাঁশীতে বা বীণাতে কি বাজছে তা কিসে জানা যাবে?
8. বস্তুতঃ তূরীর ধ্বনি যদি অস্পষ্ট হয়, তবে কে যুদ্ধের জন্য সুসজ্জিত হবে?
9. তেমনি তোমরা যদি জিহ্বা দ্বারা, যা সহজে বোঝা যায়, এমন কথা না বল, তবে কি বলা হচ্ছে, তা কিসে জানা যাবে? বরঞ্চ তোমাদের কথা আকাশকেই বলা হবে।
10. হয় তো দুনিয়াতে অনেক প্রকার ভাষা আছে, আর ভাষাবিহীন কিছুই নেই।
11. ভাল, আমি যদি ভাষার বিশেষের অর্থ না জানি, তবে যে জন বলে, তার পক্ষে আমি বিদেশীর মত হব এবং আমার পক্ষে সেই বক্তাও তা-ই হবে।
12. অতএব তোমরা যখন নানা রকম রূহানিক বর প্রাপ্ত হতে চাও, তখন যে বর দ্বারা মণ্ডলীকে গেঁথে তোলা যায় সেই রকম বর লাভ করতে চেষ্টা কর।
13. এজন্য যে ব্যক্তি বিশেষ ভাষায় কথা বলে সে মুনাজাত করুক, যেন সে তার অর্থ বুঝিয়ে দিতে পারে।
14. কেননা যদি আমি বিশেষ ভাষায় মুনাজাত করি, তবে আমার রূহ্ মুনাজাত করে, কিন্তু আমার বুদ্ধি কোন কাজ করে না।
15. তবে দাঁড়াল কি? আমি রূহে মুনাজাত করবো, বুদ্ধিতেও মুনাজাত করবো; রূহে কাওয়ালী গাইব, বুদ্ধিতেও কাওয়ালী গাইব।
16. নতুবা যদি তুমি রূহে শুকরিয়া দাও, তবে যে ব্যক্তি সামান্য শ্রোতার স্থান পূর্ণ করে, সে কেমন করে তোমার শুকরিয়াতে ‘আমিন’ বলবে? তুমি কি বলছো, তা তো সে জানে না।
17. কারণ তুমি সুন্দররূপে শুকরিয়া দিচ্ছ বটে, কিন্তু সেই ব্যক্তিকে গড়ে তোলা হয় না।