21. শরীয়তে লেখা আছে, “আমি পরভাষীদের দ্বারা এবং পরদেশীদের মুখ দিয়ে এই জাতির কাছে কথা বলবো, কিন্তু তা করলেও তারা আমার কথা শুনবে না, এই কথা প্রভু বলেন।”
22. অতএব সেই বিশেষ বিশেষ ভাষা ঈমানদারদের জন্য নয়, বরং অ-ঈমানদারদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভবিষ্যদ্বাণী অ-ঈমানদারদের জন্য নয়, বরং ঈমানদারদেরই জন্য চিহ্নস্বরূপ।
23. অতএব সমস্ত মণ্ডলী এক স্থানে সমবেত হয়ে যদি সবাই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে এবং কয়েকজন সাধারণ লোক বা কয়েকজন অ-ঈমানদার লোক প্রবেশ করে, তবে তারা কি বলবে না যে, তোমরা পাগল?
24. কিন্তু সকলে যদি ভবিষ্যদ্বাণী বলে, আর কোন অ-ঈমানদার বা সাধারণ ব্যক্তি প্রবেশ করে, তবে সেই লোকদের কথার দ্বারা তারা নিজেদের দোষ দেখতে পাবে ও সেই সব কথার দ্বারা বিচারিত হবে,
25. তাতে তার হৃদয়ের গোপন বিষয় সকল প্রকাশ পাবে; এবং এরূপে সে সেজদায় পড়ে আল্লাহ্র এবাদত করবে, বলবে, আল্লাহ্ বাস্তবিকই তোমাদের মধ্যে আছেন।
26. ভাইয়েরা, তবে দাঁড়াল কি? তোমরা যখন জমায়েত হও, তখন যদি কেউ গজল গায়, কেউ উপদেশ দেয়, কেউ আল্লাহ্র সত্য প্রকাশ করে, কেউ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, কেউ সেই ভাষার অর্থ ব্যাখ্যা করে, তবে সব কিছুই গড়ে তুলবার জন্য করুক।
27. যদি কেউ বিশেষ ভাষায় কথা বলে, তবে দু’জন, কিংবা অধিক হলে তিনজন বলুক, পালানুক্রমেই বলুক, আর একজন অর্থ বুঝিয়ে দিক।
28. কিন্তু অর্থকারক না থাকলে সেই ব্যক্তি মণ্ডলীতে নীরব হয়ে থাকুক, কেবল নিজের ও আল্লাহ্র উদ্দেশে কথা বলুক।
29. আর নবীরা দুই কিংবা তিনজন করে কথা বলুক, অন্য সকলে সেই সব কথার বিচার করে দেখুক।
30. কিন্তু এমন আর কারো কাছে যদি কিছু প্রকাশিত হয়, যে বসে রয়েছে, তবে প্রথম ব্যক্তি নীরব থাকুক।
31. কারণ তোমরা সকলে এক এক করে ভবিষ্যদ্বাণী বলতে পার, যেন সবাই শিক্ষা পায় ও সকলেই উৎসাহিত হয়।