7. আর পাক-রূহ্ই সাক্ষ্য দিচ্ছে, কারণ পাক-রূহ্ সেই সত্য।
8. বস্তুত তিনটি বিষয় সাক্ষ্য দিচ্ছে, পাক-রূহ্, পানি ও রক্ত এবং সেই তিনের সাক্ষ্য একই।
9. আমরা যদি মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করি, তবে আল্লাহ্র সাক্ষ্য তার চেয়েও বড়; ফলত আল্লাহ্র সাক্ষ্য এই যে, তিনি আপন পুত্রের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
10. আল্লাহ্র পুত্রে যে ঈমান আনে, ঐ সাক্ষ্য তার অন্তরে থাকে; আল্লাহ্র উপরে যে ঈমান না আনে, সে তাঁকে মিথ্যাবাদী করেছে; কারণ আল্লাহ্ আপন পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা সে বিশ্বাস করে নি।
11. আর সেই সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ আমাদেরকে অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে।
12. পুত্রকে যে পেয়েছে, সে সেই জীবন পেয়েছে; আল্লাহ্র পুত্রকে যে পায় নি, সে সেই জীবনও পায় নি।
13. তোমরা যারা আল্লাহ্র পুত্রের নামে ঈমান এনেছ, আমি তোমাদের এসব কথা লিখলাম, যেন তোমরা জানতে পার যে, তোমরা অনন্ত জীবন পেয়েছ।
14. আর তাঁর উদ্দেশে আমরা এই সাহস পেয়েছি যে, যদি তাঁর ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শোনেন।
15. আর যদি জানি যে, আমরা যা যাচ্ঞা করি, তিনি তা শোনেন তবে এও জানি যে, আমরা তাঁর কাছে যা যাচ্ঞা করেছি তার সবই পেয়েছি।
16. যদি কেউ আপন ভাইকে এমন গুনাহ্ করতে দেখে যা মৃত্যুজনক নয়, তবে সে যাচ্ঞা করবে এবং আল্লাহ্ তাকে জীবন দেবেন— যারা মৃত্যুজনক গুনাহ্ করে না, তাদেরকেই দেবেন। মৃত্যুজনক গুনাহ্ আছে, সেই বিষয়ে আমি বলি না যে, তাকে ফরিয়াদ করতে হবে।
17. সমস্ত অধার্মিকতাই গুনাহ্; আর এমন গুনাহ্ আছে, যা মৃত্যুজনক নয়।
18. আমরা জানি, যে কেউ আল্লাহ্ থেকে জাত সে গুনাহ্ করে না, কিন্তু যে আল্লাহ্ থেকে জাত সে নিজেকে রক্ষা করে এবং সেই শয়তান তাকে স্পর্শ করে না।
19. আমরা জানি যে, আমরা আল্লাহ্র সন্তান; আর সমস্ত দুনিয়া সেই শয়তানের মধ্যে শুয়ে রয়েছে।
20. আর আমরা জানি যে, আল্লাহ্র পুত্র এসেছেন এবং আমাদেরকে এমন বুদ্ধি দিয়েছেন, যাতে আমরা সেই সত্যময়কে জানি; এবং আমরা সেই সত্যময়ে, তাঁর পুত্র ঈসা মসীহে আছি; তিনিই সত্যময় আল্লাহ্ এবং অনন্ত জীবন।
21. সন্তানেরা, তোমরা মূর্তিগুলো থেকে নিজেদের দূরে রাখ।