1. প্রিয়তমেরা, তোমরা সকল রূহ্কে বিশ্বাস করো না, বরং রূহ্গুলোকে পরীক্ষা করে দেখ, তারা আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছে কি না; কারণ অনেক ভণ্ড নবী দুনিয়াতে বের হয়েছে।
2. এতে তোমরা আল্লাহ্র রূহ্কে জানতে পারবে; যে রূহ্ ঈসা মসীহ্কে মানব দেহে আগত বলে স্বীকার করে, সে আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছে।
3. আর যে রূহ্ ঈসাকে স্বীকার না করে, সে আল্লাহ্ থেকে আসে নি; আর তা-ই দজ্জালের রূহ্, যার বিষয়ে তোমরা শুনেছ যে, তা আসছে এবং এখনই তা দুনিয়াতে আছে।
4. সন্তানেরা, তোমরা আল্লাহ্ থেকে এসেছ এবং ওদেরকে জয় করেছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যবর্তী, তিনি দুনিয়ার মধ্যবর্তী ব্যক্তির চেয়ে মহান।
5. ওরা দুনিয়া থেকে এসেছে, এই কারণে দুনিয়ার কথা বলে এবং দুনিয়া ওদের কথা শোনে।
6. আমরা আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছি; আল্লাহ্কে যে জানে, সে আমাদের কথা শোনে; যে আল্লাহ্ থেকে আসে নি, সে আমাদের কথা শোনে না। এতেই আমরা সত্যের রূহ্কে ও ভ্রান্তির রূহ্কে জানতে পারি।
7. প্রিয়তমেরা, এসো, আমরা একে অন্যকে মহব্বত করি; কারণ মহব্বত আল্লাহ্র; এবং যে কেউ মহব্বত করে, সে আল্লাহ্ থেকে জাত এবং সে আল্লাহ্কে জানে।
8. যে মহব্বত করে না, সে আল্লাহ্কে জানে না, কারণ আল্লাহ্ মহব্বত।
9. আমাদের মধ্যে এতেই আল্লাহ্র মহব্বত প্রকাশিত হয়েছে যে, আল্লাহ্ তাঁর একজাত পুত্রকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন, যেন আমরা তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন লাভ করতে পারি।
10. এতেই মহব্বত আছে; আমরা যে আল্লাহ্কে মহব্বত করেছিলাম তা নয়; কিন্তু তিনিই আমাদেরকে মহব্বত করলেন এবং আপন পুত্রকে আমাদের গুনাহের কাফ্ফারা হবার জন্য প্রেরণ করলেন।
11. প্রিয়তমেরা, আল্লাহ্ যখন আমাদের এমন মহব্বত করেছেন, তখন আমরাও পরস্পর মহব্বত করতে বাধ্য।