5. কিন্তু যে তাঁর কালাম পালন করে, তার অন্তরে সত্যিই আল্লাহ্র মহব্বত পূর্ণতা লাভ করেছে। এতেই আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁর সঙ্গে আছি;
6. যে বলে, “আমি তাঁর সঙ্গে আছি”, তবে যেভাবে তিনি চলতেন সেভাবে তারও চলা উচিত।
7. প্রিয়তমেরা, আমি তোমাদের কাছে কোন নতুন হুকুমের কথা লিখছি না; বরং এমন এক পুরানো হুকুমের কথা লিখছি, যা তোমরা আদি থেকে পেয়েছ; তোমরা যে কালাম শুনেছ, তা-ই এই পুরানো হুকুম।
8. আবার আমি তোমাদের কাছে একটি নতুন হুকুমের কথা লিখছি, তা তাঁর ও তোমাদের মধ্যে দেখা গেছে; কারণ অন্ধকার ঘুঁচে যাচ্ছে এবং প্রকৃত নূর এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
9. যে বলে, আমি নূরে আছি, আর আপন ভাইকে ঘৃণা করে, সে এখনও অন্ধকারে রয়েছে।
10. যে আপন ভাইকে মহব্বত করে সে নূরে বাস করে এবং তার মধ্যে উচোট খাওয়ার কোন কারণ নেই।
11. কিন্তু যে আপন ভাইকে ঘৃণা করে সে অন্ধকারে আছে এবং অন্ধকারে চলে, আর কোথায় যায় তা জানে না, কারণ অন্ধকার তার চোখ অন্ধ করে দিয়েছে।
12. সন্তানেরা, আমি তোমাদেরকে লিখছি, কারণ তাঁর নামের গুণে তোমাদের গুনাহের মাফ হয়েছে।
13. পিতারা, তোমাদেরকে লিখছি, কারণ যিনি আদি থেকে আছেন, তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, তোমাদেরকে লিখছি, কারণ তোমরা সেই ইবলিসকে জয় করেছ।
14. শিশুরা তোমাদেরকে লিখলাম, কারণ তোমরা পিতাকে জান। পিতারা, তোমাদের লিখলাম, কারণ যিনি আদি থেকে আছেন, তোমরা তাঁকে জান। যুবকেরা, তোমাদের লিখলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং আল্লাহ্র কালাম তোমাদের অন্তরে বাস করে, আর তোমরা সেই ইবলিসকে জয় করেছ।
15. তোমরা দুনিয়াকে মহব্বত করো না, দুনিয়ার বিষয়গুলোকেও মহব্বত করো না। কেউ যদি দুনিয়াকে মহব্বত করে, তবে পিতার মহব্বত তার অন্তরে নেই।
16. কেননা দুনিয়াতে যা কিছু আছে— গুনাহ্-স্বভাবের অভিলাষ, চোখের অভিলাষ ও সাংসারিক বিষয়ে অহংকার— এসব পিতা থেকে নয়, কিন্তু দুনিয়া থেকে হয়েছে।
17. আর দুনিয়া ও তার অভিলাষ লোপ পেতে চলেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহ্র ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকাল স্থায়ী।
18. শিশুরা, শেষকাল উপস্থিত, আর তোমরা যেমন শুনেছ যে, দজ্জাল আসছে, তেমনি এখনই অনেক দজ্জাল বের হয়েছে; এতে আমরা জানি যে, শেষকাল উপস্থিত।
19. তারা আমাদের মধ্য থেকে বের হয়েছে; কিন্তু আমাদের লোক ছিল না; কেননা যদি আমাদের হত তবে আমাদের সঙ্গে থাকতো; কিন্তু তারা বের হয়ে গেছে, যেন প্রকাশ হয়ে পড়ে যে, সকলে আমাদের নয়।
20. আর তোমরা সেই পবিত্রতম থেকে অভিষেক পেয়েছ ও সকলেই জ্ঞান লাভ করেছ।