10. এখন আমি তার প্রেমিকদের সাক্ষাতে তার ভ্রষ্টতা প্রকাশ করবো; কেউ তাকে আমার হাত থেকে উদ্ধার করবে না।
11. আর আমি তার সমস্ত আমোদ, তার উৎসব, অমাবস্যা, বিশ্রামবার ও ঈদগুলো বন্ধ করে দেব।
12. আর আমি তার আঙ্গুরলতা ও সমস্ত ডুমুর গাছ বিনষ্ট করবো, যার বিষয়ে সে বলেছে, ‘এই সব আমার পুরস্কার, আমার প্রেমিকেরা তা আমাকে দিয়েছে’; কিন্তু আমি এসব অরণ্যে পরিণত করবো, আর মাঠের পশুগুলো সেসব খেয়ে ফেলবে।
13. আর আমি বাল-দেবতাদের সময়ের প্রতিফল তাকে ভোগ করাব, যাদের উদ্দেশে সে ধূপ জ্বালাত ও আংটি ও গহনা-গাঁটি নিজেকে সাজিয়ে প্রেমিকদের পিছনে গমন করতো এবং আমাকে ভুলে থাকতো, মাবুদ এই কথা বলেন।
14. অতএব দেখ, আমি তাকে প্ররোচিত করে মরুভূমিতে আনবো, আর চিত্ততোষক কথা বলবো।
15. আর আমি সেই স্থান থেকে তার আঙ্গুরক্ষেত এবং আশাদ্বার বলে আখোর উপত্যকা তাকে দেব; এবং সে সেখানে সাড়া দেবে, যেমন যৌবনকালে, যেমন মিসর থেকে বের হয়ে আসার দিনে করেছিল।
16. আর মাবুদ বলেন, সেই দিনে সে আমাকে ‘ঈশী’ [আমার স্বামী] বলে সম্বোধন করবে; কিন্তু ‘বালী’ [আমার নাথ] বলে আর সম্বোধন করবে না।
17. কারণ আমি তার মুখ থেকে বালদেবদের নাম দূর করবো, তাদের নাম নিয়ে তাদের আর স্মরণ করা হবে না।
18. আর সেদিন আমি লোকদের জন্য মাঠের পশু, আসমানের পাখি ও ভূমির সরীসৃপগুলোর সঙ্গে নিয়ম করবো; এবং ধনুক, তলোয়ার ও যুদ্ধের সাজ-পোশাক ভেঙ্গে দেশের মধ্য থেকে দূর করে দেব ও তাদেরকে নিশ্চিন্তে শয়ন করাব।
19. আর আমি চিরকালের জন্য তোমাকে বাগ্দান করবো; হ্যাঁ, ধার্মিকতা, ন্যায়বিচার, অটল মহব্বত ও বহুবিধ করুণায় তোমাকে বাগ্দান করবো।
20. আমি বিশ্বস্ততায় তোমাকে বাগ্দান করবো, তাতে তুমি মাবুদকে জানবে।
21. আবার মাবুদ বলেন, সেই দিনে আমি উত্তর দেব; আমি আকাশকে উত্তর দেব, আসমান ভূতলকে উত্তর দেবে;
22. ভূতল শস্য, আঙ্গুর-রস ও তেলকে উত্তর দেবে এবং এসব যিষ্রিয়েলকে উত্তর দেবে।
23. আমি নিজের জন্য তাকে দেশে রোপণ করবো, যে ‘অনুকম্পিতা নয়,’ তাকে অনুকম্পা করবো এবং যে ‘আমার লোক নয়,’ তাকে বলবো, তুমি আমার লোক এবং সে বলবে, তুমি আমার আল্লাহ্।