5. কারণ জীবিত লোকেরা জানে যে, তারা মরবে; কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না এবং তাদের আর কোন ফলও হয় না, কারণ লোকে তাদের বিষয় ভুলে যায়।
6. তাদের মহব্বত, তাদের ঘৃণা ও তাদের ঈর্ষা সকল কিছুই বিনষ্ট হয়ে গেছে; সূর্যের নিচে যে কোন কাজ করা যায়, তাতে কোনকালেও তাদের আর কোন অধিকার হবে না।
7. তুমি যাও, আনন্দপূর্বক তোমার খাদ্য গ্রহণ কর, হৃষ্টচিত্তে তোমার আঙ্গুর-রস পান কর, কেননা আল্লাহ্ আগে থেকেই তোমার সমস্ত কাজ গ্রাহ্য করে আসছেন।
8. তোমার কাপড় সর্বদা সাদা রংয়ের থাকুক, তোমার মাথায় তেলের অভাব না হোক।
9. সূর্যের নিচে আল্লাহ্ তোমাকে অসার জীবনের যত দিন দিয়েছেন, তোমার সেসব অসার দিন থাকতে তুমি নিজের প্রিয়া স্ত্রীর সঙ্গে সুখে জীবন যাপন কর, কেননা জীবনের মধ্যে এবং তুমি সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হচ্ছো, তার মধ্যে এ-ই তোমার অধিকার।
10. তোমার হাত যে কোন কাজ করতে পারে, তোমার শক্তির সঙ্গে তা কর; কেননা তুমি যে স্থানে যাচ্ছ, সেই পাতালে কোন কাজ কি সঙ্কল্প, বা বিদ্যা বা প্রজ্ঞা, কিছুই নেই।
11. আমি ফিরলাম ও সূর্যের নিচে দেখলাম যে, দ্রুতগামীদের দ্রুতগমন, বা বীরদের যুদ্ধ, বা জ্ঞানবানদের অন্ন, বা বুদ্ধিমানদের ধন, বা বিজ্ঞদেরই দয়া লাভ হয়, এমন নয়, কিন্তু সকলের কাছে সময় ও সুযোগ আসে।
12. বাস্তবিক মানুষও নিজের কাল জানে না; যেমন মাছ অশুভ জালে ধৃত হয়, কিংবা যেমন পাখিগুলো ফাঁদে ধৃত হয়, তেমনি বনি-আদমেরা অশুভকালে ধরা পড়ে, তা হঠাৎ তাদের উপরে এসে পড়ে।
13. আবার আমি প্রজ্ঞাকে সূর্যের নিচে এভাবে দেখেছি, আর তা আমার দৃষ্টিতে মহৎ বোধ হল।
14. একটি ক্ষুদ্র নগর ছিল, তাতে লোক অল্প ছিল; পরে মহান কোন বাদশাহ্ এসে তা বেষ্টন করে তার বিরুদ্ধে বড় বড় দুর্গ নির্মাণ করলেন।
15. আর ঐ নগরের মধ্যে এক জন জ্ঞানবান দরিদ্র লোককে পাওয়া গেল; সে তার প্রজ্ঞা দ্বারা নগরটি রক্ষা করলো, কিন্তু সেই দরিদ্র লোকটিকে কেউই স্মরণ করলো না।
16. তখন আমি বললাম, পরাক্রম থেকে প্রজ্ঞা উত্তম, তবুও দরিদ্রের প্রজ্ঞাকে তুচ্ছ করা হয় ও তার কথা কেউ শোনে না।
17. হীনবুদ্ধিদের মধ্যে কর্তৃত্বকারীর চিৎকারের চেয়ে জ্ঞানবানদের কথা শান্তি-স্থানে বেশি শোনা হয়।