2. আমার পরামর্শ এই, তুমি বাদশাহ্র হুকুম পালন কর; আল্লাহ্র সাক্ষাতে কৃত শপথ করেছ বলেই তা সম্পন্ন কর।
3. তাঁর সম্মুখ থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেও না; মন্দ বিষয়ে লিপ্ত থেকো না; কেননা তিনি যা ইচ্ছা করেন, তা-ই করেন।
4. কারণ বাদশাহ্র কথা অনেক শক্তিশালী, আর ‘তুমি কি করছো?’ এমন কথা তাঁকে কে বলতে পারে?
5. যে ব্যক্তি হুকুম পালন করে, সে কোন মন্দ বিষয় জানবে না; আর জ্ঞানবানের মন সঠিক সময় ও বিচার জানে।
6. বস্তুত সমস্ত ব্যাপারের জন্য উপযুক্ত সময় ও বিচার আছে; কারণ মানুষের দুঃখ তার পক্ষে অতিমাত্র।
7. কেননা কি ঘটবে, তা সে জানে না; কিভাবেই বা ঘটবে, তা তাকে কে জানাতে পারে?
8. বায়ুকে যেমন ধরে রাখবার ক্ষমতা কারো নেই তেমনি মরণদিনের উপরে কর্তৃত্ব কারো নেই এবং যুদ্ধের সময় কারো ছুটি পাওয়া সম্ভব হবে না, আর নাফরমানী দুষ্টকে উদ্ধার করবে না।
9. আমি এই সমস্ত কিছুই দেখেছি ও সূর্যের নিচে যেসব কাজ করা যায়, তার প্রতি মনোনিবেশ করেছি; কোন কোন সময়ে এক জন অন্যের উপরে তার অমঙ্গলের জন্য কর্তৃত্ব করে।
10. আমি এও দেখেছি যে, দুষ্টরা কবর পেল, সমাধি মধ্যে প্রবেশ করলো; কিন্তু যারা সদাচরণ করেছিল, তারা পবিত্র স্থান থেকে চলে গেল এবং নগরে লোকে তাদের ভুলে গেল; এও অসার।
11. দুষ্কর্মের দণ্ডাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর হয় না, এই কারণে বনি-আদমদের অন্তঃকরণ দুষ্কর্ম করতে সম্পূর্ণভাবে রত হয়।
12. গুনাহ্গার যদিও শতবার দুষ্কর্ম করে দীর্ঘকাল থাকে, তবুও আমি নিশ্চয় জানি, আল্লাহ্-ভীত লোকদের, যারা আল্লাহ্র সাক্ষাতে ভয় পায়, তাদের মঙ্গল হবে;
13. কিন্তু দুষ্ট লোকের মঙ্গল হবে না ও সে দীর্ঘকাল থাকবে না; তার আয়ু ছায়াস্বরূপ; কারণ সে আল্লাহ্র সাক্ষাতে ভীত হয় না।
14. দুনিয়াতে এই সব অসারতা সাধিত হয়; এমন ধার্মিক লোক আছে, যাদের প্রতি দুষ্টদের কর্মানুযায়ী ফল ঘটে; আবার এমন দুষ্ট লোক আছে, যাদের প্রতি ধার্মিকদের কর্মানুযায়ী ফল ঘটে; আমি বললাম, এও অসার।
15. তখন আমি আমোদের প্রশংসা করলাম, কেননা ভোজন পান ও আমোদ করা ছাড়া সূর্যের নিচে মানুষের আর ভাল কিছু নেই; সূর্যের নিচে আল্লাহ্দত্ত তার জীবনকালে সেটাই তার পরিশ্রমে তার সহবর্তী হবে।