10. তুমি জিজ্ঞাসা করো না, বর্তমান কালের চেয়ে পূর্বকাল কেন ভাল ছিল? কেননা এই বিষয়ে তোমার জিজ্ঞাসা করা প্রজ্ঞা থেকে উৎপন্ন হয় না।
11. পৈতৃক ধনের মত প্রজ্ঞা ভাল; যারা সূর্য দর্শন করে তাদের পক্ষে আরও উৎকৃষ্ট।
12. কেননা প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু প্রজ্ঞার উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা নিজের অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
13. আল্লাহ্র কাজ নিরীক্ষণ কর, কারণ তিনি যা বাঁকা করেছেন, তা সরল করা কার সাধ্য?
14. সুখের দিনে সুখী হও এবং দুঃখের দিনে দেখ, আল্লাহ্ সুখ ও দুঃখ পাশাপাশি রেখেছেন, অভিপ্রায় এই, তারপর কি ঘটবে, তার কিছুই যেন মানুষ জানতে না পারে।
15. আমি নিজের অসারতার কালে এ সবই দেখেছি; কোন ধার্মিক লোক নিজের ধার্মিকতায় বিনষ্ট হয় এবং কোন দুষ্ট লোক নিজের দুষ্টতায় দীর্ঘ কাল যাপন করে।
16. অতি ধার্মিক হয়ো না ও নিজেকে অতিশয় জ্ঞানবান দেখিও না;
17. কেন নিজেকে নষ্ট করবে? অতি দুষ্ট হয়ো না, অজ্ঞানও হয়ো না; তোমার সময় না হতে কেন মরবে?
18. তুমি যদি তা ধরে রাখ এবং তা থেকেও হাত নিবৃত্ত না কর, তবে ভাল; কেননা যে আল্লাহ্কে ভয় করে, সে ঐ সমস্ত চরম অবস্থা থেকে উত্তীর্ণ হবে।
19. জ্ঞানবানকে প্রজ্ঞা যত বলবান করে, নগরস্থ দশ জন পরাক্রমী তত করে না।
20. এমন ধার্মিক লোক দুনিয়াতে নেই, যে সৎকর্ম করে, গুনাহ্ করে না।
21. যত কথা বলা যায়, সকল কথায় মন দিও না; দিলে হয় তো শুনবে, তোমার গোলাম তোমাকে বদদোয়া দিচ্ছে।
22. কেননা তুমিও অন্যকে পুনঃ পুনঃ বদদোয়া দিয়েছ, তা তোমার মন জানে।
23. আমি প্রজ্ঞা দ্বারা এগুলোর পরীক্ষা করলাম; আমি বললাম, জ্ঞানবান হব, কিন্তু জ্ঞান আমার কাছ থেকে দূরে ছিল।