2. তুমি নিজের মুখকে দ্রুত কথা বলতে দিও না এবং আল্লাহ্র সাক্ষাতে কথা বলতে তোমার কথাগুলো যেন দ্রুত না হয়; কেননা আল্লাহ্ বেহেশতে ও তুমি দুনিয়াতে, অতএব তোমার কথা অল্প হোক।
3. কারণ স্বপ্ন বহুকষ্টসহ উপস্থিত হয়, আর হীনবুদ্ধি কথা অনেক কথা বললে বোকামী বের হয়ে আসে।
4. আল্লাহ্র কাছে মানত করলে তা পরিশোধ করতে বিলম্ব করো না, কারণ হীনবুদ্ধি লোকদের উপর তাঁর সন্তোষ নেই; যা মানত করবে, তা পরিশোধ করো।
5. মানত করে না দেওয়ার চেয়ে বরং তোমার মানত না করাই ভাল।
6. তুমি তোমার কথার দরুন নিজেকে গুনাহ্র মধ্যে ডুবিয়ে দিও না; এবং “ওটা ভুল,” এমন কথা ফেরেশতার সাক্ষাতে বলো না; আল্লাহ্ কেন তোমার কথায় ক্রুদ্ধ হয়ে তোমার হাতের কাজ নষ্ট করবেন?
7. বস্তুত অনেক স্বপ্ন দেখা ও অনেক কথা বলা অসারতা বয়ে নিয়ে আসে; কিন্তু তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর।
8. তুমি দেশে দরিদ্রের জুলুম, কিংবা বিচার ও ধার্মিকতার খণ্ডন দেখলে সেই ব্যাপারে চমৎকৃত হয়ো না, কেননা উচ্চপদস্থ লোকের চেয়ে উচ্চতর পদান্বিত এক জন রক্ষক আছেন; আবার যিনি উচ্চতম, তিনি উভয়ের কর্তা।
9. আর দেশের ফল সকলেরই জন্য; ভূমির দ্বারা বাদশাহ্ সেবা পেয়ে থাকেন।
10. যে ব্যক্তি টাকা ভালবাসে, সে টাকায় তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; এও অসার।
11. সম্পত্তি বাড়লে ভোক্তাও বাড়ে; আর দৃষ্টিসুখ ছাড়া সম্পত্তিতে সম্পত্তির মালিকদের কি ফল হয়?
12. শ্রমজীবী বেশি বা অল্প আহার করুক, নিদ্রা তার মিষ্ট লাগে; কিন্তু ধনবানের পূর্ণতা তাকে নিদ্রা যেতে দেয় না।
13. সূর্যের নিচে আমি এই বিষম অনিষ্ট দেখেছি যে, ধনাধিকারীর অনিষ্টের জন্যই ধন রক্ষিত হয়;
14. আর দুর্ঘটনায় সেই ধনের ক্ষয় হয় এবং যদিও সে সন্তানের পিতা, কিন্তু তার হাতে কিছুই নেই।
15. সে মাতৃগর্ভ থেকে উলঙ্গ আসে; যেমন আসে তেমনি উলঙ্গই পুনরায় চলে যায়; পরিশ্রম করলেও সে যা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারে, এমন কিছুই নেই।