13. আর প্রত্যেক মানুষ যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, তাও আল্লাহ্র দান।
14. আমি জানি, আল্লাহ্ যা কিছু করেন, তা চিরস্থায়ী; তা বাড়াতেও পারা যায় না, কমাতেও পারা যায় না; আর আল্লাহ্ তা করেছেন, যেন তাঁর সম্মুখে মানুষ ভয় পায়।
15. যা আছে, তা-ই ছিল এবং যা হবে, তাও আগে ছিল; এবং যা চলে গেছে, আল্লাহ্ তার অনুসন্ধান করেন।
16. আরও আমি সূর্যের নিচে, বিচারের স্থানে দেখলাম, সেখানেও নাফরমানী আছে; এবং ধার্মিকতার স্থানে দেখলাম, সেখানে নাফরমানী আছে।
17. আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহ্ই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের জন্য এবং সমস্ত কাজের জন্য বিশেষ কাল আছে।
18. আমি মনে মনে বললাম, বনি-আদমকে আল্লাহ্ পরীক্ষা করেন, যেন তারা দেখতে পায় যে, তারা নিজেই পশুর মত।
19. কেননা বনি-আদমদের প্রতি যা ঘটে, তা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি এক রকম ঘটনা ঘটে; এই যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু থেকে মানুষের কোন কিছুতেই প্রাধান্য নেই, কেননা সকলই অসার।
20. সকলেই এক স্থানে গমন করে, সকলেই ধূলি থেকে উৎপন্ন এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।
21. বনি-আদমদের রূহ্ ঊর্ধ্বগামী হয় ও পশুর রূহ্ ভূতলের দিকে অধোগামী হয়, তা কে জানে?
22. অতএব আমি দেখলাম, নিজের কাজে আনন্দ করা ছাড়া আর মঙ্গল মানুষের নেই; কেননা এ-ই তার অধিকার। মানুষের মৃত্যুর পরে যা ঘটবে, কে তাকে এনে তা দেখাতে পারে?