12. পরে আমি প্রজ্ঞা এবং উন্মত্ততা ও অজ্ঞানতা দেখতে প্রবৃত্ত হলাম; কারণ যে ব্যক্তি রাজ পদের উত্তরাধিকারী হয়ে আসবে, সে কি করবে? আগে যা করা গিয়েছিল, তা-ই মাত্র।
13. তখন আমি দেখলাম, যেমন অন্ধকারের চেয়ে আলো উত্তম, তেমনি অজ্ঞানতার চেয়ে প্রজ্ঞা উত্তম।
14. জ্ঞানবানের মস্তকেই চোখ থাকে, কিন্তু হীনবুদ্ধি অন্ধকারে ভ্রমণ করে; তবুও আমি জানলাম যে, সকলেরই এক দশা ঘটে।
15. তখন আমি মনে মনে বললাম, হীনবুদ্ধির প্রতি যা ঘটে, তা-ই তো আমার প্রতি ঘটে, তবে আমি কি জন্য বেশি জ্ঞানবান হলাম? পরে আমি মনে মনে বললাম, এও অসার।
16. কেননা হীনবুদ্ধির মত জ্ঞানবানের বিষয়ও লোকে চিরকাল মনে রাখবে না, ভবিষ্যৎকালে কিছুই স্মরণে থাকবে না; আহা! হীনবুদ্ধি যেমন মরে, তেমনি জ্ঞানবানও মরে।
17. সুতরাং আমি জীবনে বিরক্ত হলাম; কেননা সূর্যের নিচে যে কাজ করা হয় তা আমার কষ্টদায়ক মনে হল; কারণ সকলই অসার ও বায়ুর পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।