3. সেই দিনে বাড়ির রক্ষকেরা ভয়ে কাঁপবে, পরাক্রমী ব্যক্তিরা নত হবে ও পেষণকারী লোকেরা সংখ্যায় অল্প হয়েছে বলে কাজ ত্যাগ করবে এবং জানালা দিয়ে দর্শনকারিণীরা অন্ধীভূতা হবে;
4. আর পথের দিকের দরজা রুদ্ধ হবে; তখন যাঁতার আওয়াজ অতি সূক্ষ্ম হবে এবং পাখির কূজনে লোকে উঠে দাঁড়াবে ও বাদ্যকারিণী কন্যারা সকলে ক্ষীণ হবে।
5. আবার লোকে উঁচু স্থানে যেতে ভয় পাবে ও পথে ত্রাস হবে, কদম গাছে ফুল ফুটবে, ফড়িং অতি কষ্টে চলবে; ও কামনা নিস্তেজ হবে; কেননা মানুষ তার নিত্যস্থায়ী নিবাসে চলে যাবে ও মাতমকারীরা পথে পথে বেড়াবে।
6. সেই সময়ে রূপার তার খুলে যাবে, সোনার পানপাত্র ভেঙ্গে যাবে এবং ফোয়ারার ধারে কলস খণ্ড খণ্ড হবে ও কূপে পানি তোলার চাকা ভেঙ্গে যাবে।
7. আর ধূলি আগের মত মাটিতে প্রতিগমন করবে; এবং রূহ্ যাঁর দান, সেই আল্লাহ্র কাছে প্রতিগমন করবে।
8. হেদায়েতকারী বলছেন, অসারের অসার, সকলই অসার।
9. শেষ কথা, হেদায়েতকারী জ্ঞানবান ছিলেন; তাই তিনি লোকদেরকে জ্ঞান শিক্ষা দিতেন এবং মনোনিবেশ ও বিবেচনা করতেন, অনেক প্রবাদ বিন্যাস করতেন।
10. হেদায়েতকারী উপযুক্ত শব্দের অনুসন্ধান করতেন এবং তিনি যা লিখেছেন তা খাঁটি ও সত্য।
11. জ্ঞানবানদের কথা রাখালের লাঠির মত, তাদের সঙ্কলিত কথাগুলো শক্ত করে পোঁতা গোঁজের মত, যেগুলো একই ভেড়ার রাখাল দ্বারা দেওয়া হয়েছে। আর শেষ কথা এই, হে বৎস, তুমি এসব থেকে উপদেশ গ্রহণ কর;
12. অনেক পুস্তক রচনার শেষ হয় না এবং অধ্যয়নের আধিক্যে শরীরের ক্লান্তি হয়।
13. এসো, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; আল্লাহ্কে ভয় কর ও তাঁর সমস্ত হুকুম পালন কর, কেননা এই সব মানুষের কর্তব্য।