4. কিন্তু মাবুদ ইসরাইলের পশু ও মিসরের পশুতে প্রভেদ করবেন; তাতে বনি-ইসরাইলদের কোন পশু মরবে না।
5. আর মাবুদ সময় নির্ধারণ করে বললেন, আগামীকাল মাবুদ দেশে এই কাজ করবেন।
6. পরদিন মাবুদ তা-ই করলেন, তাতে মিসরের সমস্ত পশু মারা গেল কিন্তু বনি-ইসরাইলদের পশুদের মধ্যে একটিও মারা গেল না।
7. তখন ফেরাউন লোক পাঠিয়ে সংবাদ পেলেন যে, বনি-ইসরাইলদের একটি পশুও মারা যায় নি; তবুও ফেরাউনের অন্তর কঠিন হল এবং তিনি লোকদেরকে ছেড়ে দিলেন না।
8. পরে মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন, তোমরা মুষ্টি পূর্ণ করে ভাটীর ভস্ম নাও এবং মূসা ফেরাউনের সাক্ষাতে তা আসমানের দিকে ছড়িয়ে দিক।
9. তা সমস্ত মিসর দেশব্যাপী সূক্ষ্ম ধূলি হয়ে সেই দেশের সর্বত্র মানুষ ও পশুদের শরীরে ক্ষতযুক্ত স্ফোটক জন্মাবে।
10. তখন তাঁরা ভাটির ভস্ম নিয়ে ফেরাউনের সম্মুখে দাঁড়ালেন এবং মূসা আসমানের দিকে তা ছড়িয়ে দিলেন, তাতে মানুষ ও পশুদের শরীরে ক্ষতযুক্ত স্ফোটক হল।
11. সেই স্ফোটকের দরুন জাদুকরেরা মূসার সম্মুখে দাঁড়াতে পারল না, কারণ জাদুকরদের ও সমস্ত মিসরীয়ের শরীরে স্ফোটক জন্মালো।
12. আর মাবুদ ফেরাউনের অন্তর কঠিন করলেন। তিনি তাদের কথায় মনোযোগ দিলেন না, যেমন মাবুদ মূসাকে বলেছিলেন।
13. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি খুব ভোরে উঠে ফেরাউনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে তাকে এই কথা বলো, ইবরানীদের আল্লাহ্ মাবুদ এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার লোকদেরকে ছেড়ে দাও;
14. নতুবা এবার আমি তোমার হৃদয়ের বিরুদ্ধে এবং তোমার দরবারের লোকদের ও লোকদের মধ্যে আমার সমস্ত রকমের গজব প্রেরণ করবো; যেন তুমি জানতে পার যে, সারা দুনিয়াতে আমার মত আর কেউই নেই।
15. কেননা এত দিনে আমি আমার হাত বাড়িয়ে মহামারী দ্বারা তোমাকে ও তোমার লোকদেরকে আঘাত করতে পারতাম; তা করলে তুমি দুনিয়া থেকে উচ্ছিন্ন হতে।
16. কিন্তু বাস্তবিক আমি এজন্যই তোমাকে স্থাপন করেছি যেন আমার ক্ষমতা তোমাকে দেখাই ও সারা দুনিয়াতে আমার নাম কীর্তিত হয়।
17. এখনও তুমি দম্ভ করে আমার লোকদেরকে ছেড়ে দিতে চাইছো না।
18. দেখ, মিসরের পত্তন থেকে আজ পর্যন্ত যেরকম কখনও হয় নি, সে রকম প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি আমি আগামীকাল এই সময়ে বর্ষাবো।
19. অতএব তুমি এখন লোক পাঠিয়ে ক্ষেতে তোমার পশু ও আর যা কিছু আছে সেই সমস্ত তাড়াতাড়ি আনাও; যে মানুষ ও পশু বাড়ির বাইরে ক্ষেতে থাকবে তাদের উপরে শিলাবৃষ্টি হবে আর তাতে তারা মারা যাবে।