18. দেখ, মিসরের পত্তন থেকে আজ পর্যন্ত যেরকম কখনও হয় নি, সে রকম প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি আমি আগামীকাল এই সময়ে বর্ষাবো।
19. অতএব তুমি এখন লোক পাঠিয়ে ক্ষেতে তোমার পশু ও আর যা কিছু আছে সেই সমস্ত তাড়াতাড়ি আনাও; যে মানুষ ও পশু বাড়ির বাইরে ক্ষেতে থাকবে তাদের উপরে শিলাবৃষ্টি হবে আর তাতে তারা মারা যাবে।
20. তখন ফেরাউনের কর্মকর্তাদের মধ্যে যে মাবুদের কালামে ভয় পেল, সে শীঘ্র তার গোলাম ও পশুদেরকে বাড়ির মধ্যে নিয়ে আসল।
21. আর যে মাবুদের কালামে মনোযোগ দিল না সে তার গোলাম ও পশুদেরকে ক্ষেতে থাকতে দিল।
22. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি আসমানের দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও, তাতে মিসর দেশের সর্বত্র শিলাবৃষ্টি হবে, মিসর দেশের মানুষ, পশু ও ক্ষেতের সমস্ত ওষধির উপরে তা বর্ষিত হবে।
23. পরে মূসা তাঁর লাঠি আসমানের দিকে বিস্তার করলে মাবুদ মেঘ-গর্জন করালেন ও শিলাবৃষ্টি বর্ষালেন; আর আগুন ভূমির উপরে বেগে এসে পড়লো। এভাবে মাবুদ মিসর দেশে শিলাবৃষ্টি বর্ষালেন।
24. তাতে শিলা এবং শিলার সঙ্গে মিশানো আগ্নিবৃষ্টিও হওয়াতে তা অতি দুঃসহ হল; এরকম শিলাবৃষ্টি মিসর দেশে রাজ্য স্থাপনের সময় থেকে কখনও হয় নি।
25. তাতে সমস্ত মিসর দেশের ক্ষেতের মানুষ ও পশু সকলেই শিলা দ্বারা আহত হল ও ক্ষেতের সমস্ত ওষধি শিলা-বৃষ্টির আঘাতে নষ্ট ও সমস্ত গাছ ভেঙ্গে গেল।
26. কেবল বনি-ইসরাইলদের বাসস্থান গোশন প্রদেশে শিলাবৃষ্টি হল না।
27. পরে ফেরাউন লোক পাঠিয়ে মূসা ও হারুনকে ডেকে এনে বললেন, এবার আমি গুনাহ্ করেছি; মাবুদ ধর্মময় কিন্তু আমি ও আমার লোকেরাই দোষী।
28. তোমরা মাবুদের কাছে ফরিয়াদ কর; বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি যথেষ্ট হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ছেড়ে দেব, তোমাদের আর বিলম্ব হবে না।