17. তখন তাঁরা তা-ই করলেন; হারুন তাঁর লাঠি সহ হাত বাড়িয়ে ভূমির ধূলিতে প্রহার করলেন, তাতে মানুষের ও পশুর উপর মশার উৎপাত দেখা দিল, মিসর দেশের সর্বত্র ভূমির সমস্ত ধূলি মশায় পরিণত হয়ে গেল।
18. তখন জাদুকরেরা তাদের জাদু-মন্ত্রের জোরে মশা উৎপন্ন করার জন্য সেরকম করলো বটে কিন্তু পারল না, আর মানুষ ও পশুর উপর মশার উৎপাত হতে লাগল।
19. তখন জাদুকরেরা ফেরাউনকে বললো, এতে আল্লাহ্র আঙ্গুলের ইশারা আছে। তবুও ফেরাউনের অন্তর কঠিন হল, তিনি তাঁদের কথায় মনোযোগ দিলেন না; যেমন মাবুদ বলেছিলেন।
20. আর মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি খুব ভোরে উঠে গিয়ে ফেরাউনের সম্মুখে দাঁড়াও; দেখ, সে পানির কাছে আসবে; তুমি তাকে এই কথা বল, মাবুদ এই কথা বলেন, আমার সেবা করার জন্য আমার লোকদেরকে ছেড়ে দাও।
21. যদি আমার লোকদেরকে ছেড়ে না দাও, তবে দেখ, আমি তোমার উপর, তোমার কর্মকর্তাদের উপর, লোকদের ও সমস্ত বাড়ি-ঘরের উপর ডাঁশ মাছির ঝাঁক প্রেরণ করবো; মিসরীয়দের বাড়ি-ঘরগুলো, এমন কি, তাদের বাসভূমিও ডাঁশ মাছিতে পরিপূর্ণ হবে।
22. কিন্তু আমি সেদিন আমার লোকদের নিবাসস্থান গোশন প্রদেশ পৃথক করবো; সেই স্থানে ডাঁশ মাছি থাকবে না; যেন তুমি জানতে পার যে, দুনিয়ার মধ্যে আমিই মাবুদ।
23. আমি আমার লোক ও তোমার লোকদের মধ্যে প্রভেদ করবো; আগামীকাল এই চিহ্ন হবে।
24. পরে মাবুদ সেরকম করলেন, ফেরাউন ও তাঁর কর্মকর্তাদের বাড়িতে ডাঁশ মাছির বড় বড় ঝাঁক উপস্থিত হল; তাতে সমস্ত মিসর দেশে ডাঁশ মাছির ঝাঁক হেতু দেশটার সর্বনাশ হতে লাগল।
25. তখন ফেরাউন মূসা ও হারুনকে ডেকে এনে বললেন, তোমরা যাও দেশের মধ্যে তোমাদের আল্লাহ্র উদ্দেশে কোরবানী কর।
26. মূসা বললেন, তা করা উচিত হবে না, কেননা আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে মিসরীয়দের ঘৃণাজনক কোরবানী করতে হবে; দেখুন, মিসরীয়দের সাক্ষাতে তাদের ঘৃণাজনক কোরবানী করলে তারা কি আমাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে না?
27. আমরা তিন দিনের পথ মরুভূমিতে গিয়ে, আমাদের আল্লাহ্ মাবুদ যে হুকুম দেবেন, সেই অনুসারে তাঁর উদ্দেশে কোরবানী করবো।