19. আর মাবুদ মাদিয়ানে মূসাকে বললেন, তুমি মিসরে ফিরে যাও; কেননা যে লোকেরা তোমার প্রাণনাশের চেষ্টা করছিলো, তারা সকলে মারা গেছে।
20. তখন মূসা তাঁর স্ত্রী ও পুত্রদের গাধার পিঠে চড়িয়ে মিসর দেশে ফিরে গেলেন এবং মূসা আল্লাহ্র সেই লাঠিটি নিজের হাতে করে নিলেন।
21. মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি যখন মিসরে ফিরে যাবে, দেখো, আমি তোমার হাতে যে সমস্ত অলৌকিক কাজের ভার দিয়েছি, ফেরাউনের সাক্ষাতে সেসব করো; কিন্তু আমি তার অন্তর কঠিন করবো, সে লোকদেরকে ছেড়ে দেবে না।
22. আর তুমি ফেরাউনকে বলবে, মাবুদ এই কথা বলেন, ইসরাইল আমার পুত্র, আমার প্রথমজাত।
23. আমি তোমাকে বলেছি, আমার এবাদত করার জন্য আমার পুত্রকে ছেড়ে দাও; কিন্তু তুমি তাকে ছেড়ে দিতে অসম্মত হলে; দেখ, আমি তোমার পুত্রকে, তোমার প্রথম-জাতকে, হত্যা করবো।
24. পরে পথে পান্থশালায় মাবুদ তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন।
25. তখন সফুরা একখানি পাথরের ছুরি নিয়ে তাঁর পুত্রের পুরুষাংগের সামনের চামড়া কেটে নিলেন এবং তা তাঁর পায়ের কাছে ফেলে দিয়ে বললেন, আমার পক্ষে তুমি রক্তের বর।
26. আর আল্লাহ্ তাঁকে ছেড়ে দিলেন; তখন সফুরা বললেন, খৎনা সম্বন্ধে তুমি রক্তের বর।
27. তখন মাবুদ হারুনকে বললেন, তুমি মূসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মরুভূমিতে যাও। তাতে তিনি গিয়ে আল্লাহ্র পর্বতে তাঁর দেখা পেয়ে তাঁকে চুম্বন করলেন।
28. মাবুদ মূসাকে প্রেরণ করার সময় যা যা বলেছিলেন সেসব কথা তিনি হারুনকে জানালেন এবং যেসব চিহ্ন-কাজ করার হুকুম দিয়েছিলেন তাও তিনি হারুনকে বুঝিয়ে বললেন।
29. পরে মূসা ও হারুন গিয়ে বনি-ইসরাইলদের সমস্ত প্রাচীন ব্যক্তিকে একত্র করলেন।
30. মাবুদ মূসাকে যে সমস্ত কথা বলেছিলেন হারুন তাদেরকে সমস্তই জানালেন এবং তিনি লোকদের সম্মুখে সেসব চিহ্ন-কাজ দেখালেন।
31. তাতে লোকেরা ঈমান আনলো; আর মাবুদ বনি-ইসরাইলদের প্রতি তত্ত্বাবধান করেছেন ও তাদের দুঃখ দেখেছেন, এই কথা শুনে তারা মাবুদের উদ্দেশে সেজদা করলো।