6. তাতে মূসা হুকুম দিয়ে শিবিরের সর্বত্র এই ঘোষণা করে দিলেন যে, পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক পবিত্র স্থানের জন্য আর উপহার প্রস্তুত না করুক।
7. তাতে লোকেরা তাদের উপহার আনা থেকে বিরত হল। কেননা সমস্ত কাজ করার জন্য তাদের যথেষ্ট, এমন কি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য প্রস্তুত ছিল।
8. পরে কাজে নিযুক্ত দক্ষ সমস্ত লোক পাকানো সাদা মসীনা সুতা, নীল, বেগুনে ও লাল সুতায় তৈরি দশটি পর্দা দ্বারা শরীয়ত-তাঁবু প্রস্তুত করলেন। সেই পর্দাগুলোতে শিল্পীদের কৃত কারুবীদের আকৃতি ছিল।
9. প্রত্যেক পর্দা আটাশ হাত লম্বা ও প্রত্যেক পর্দা চার হাত চওড়া, সমস্ত পর্দার মাপ ছিল একই।
10. পরে তিনি তার পাঁচটি পর্দা একত্র যোগ করলেন এবং অন্য পাঁচটি পর্দাও একত্রে যোগ করলেন।
11. আর জোড়ার স্থানে প্রথম অন্ত্য পর্দার কিনারায় নীল রংয়ের ঘুণ্টীঘরা করলেন এবং জোড়ার স্থানের দ্বিতীয় অন্ত্য পর্দার কিনারায়ও ঠিক তা-ই করলেন।
12. প্রথম পর্দাতে পঞ্চাশটি ঘুণ্টীঘরা করলেন এবং জোড়ার স্থানের দ্বিতীয় পর্দার কিনারায়ও পঞ্চাশটি ঘুণ্টীঘরা করলেন; সেই দু’টি ঘুণ্টীঘরাশ্রেণী পরসপর সম্মুখীন হল।
13. পরে তিনি সোনার পঞ্চাশটি ঘুণ্টী তৈরি করে সেই ঘুণ্টিতে পর্দাগুলো পরসপর জোড়া দিলেন; তাতে একটিই শরীয়ত-তাঁবু হল।
14. পরে তিনি শরীয়ত-তাঁবুর উপরে আচ্ছাদন করার তাঁবুর জন্য ছাগলের লোম দিয়ে এগারটি পর্দা প্রস্তুত করলেন।
15. তার প্রত্যেক পর্দা ত্রিশ হাত লম্বা ও চার হাত চওড়া; এগারটি পর্দার একই মাপ ছিল।
16. পরে তিনি পাঁচটি পর্দা পৃথক জোড়া দিলেন ও ছয়টি পর্দা পৃথক জোড়া দিলেন।
17. আর জোড়ার স্থানের অন্ত্য পর্দার কিনারায় পঞ্চাশটি ঘুণ্টীঘরা করলেন এবং দ্বিতীয় জোড়ার স্থানের অন্ত্য পর্দার কিনারায়ও পঞ্চাশটি ঘুণ্টীঘরা করলেন।