হিজরত 34:18-35 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

18. তুমি খামিহীন রুটির উৎসব পালন করবে। আবীব মাসের যে নির্ধারিত সময়ে যেরকম করতে তোমাকে হুকুম করেছি, সেভাবে তুমি সেই সাত দিন খামিহীন রুটি খাবে, কেননা সেই আবীব মাসে তুমি মিসর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে।

19. প্রথমজাত সমস্ত পুত্র সন্তান এবং গোমেষাদি পালের মধ্যে প্রথমজাত সমস্ত পুরুষ পশু আমার।

20. প্রথমজাত গাধার পরিবর্তে তুমি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে তাকে মুক্ত করবে; যদি মুক্ত না কর তবে তার গলা ভেঙ্গে দেবে। তোমার প্রথমজাত পুত্রদেরকে তুমি মুক্ত করবে। আর কেউ শুন্য হাতে আমার সম্মুখে উপস্থিত হবে না।

21. তুমি ছয় দিন পরিশ্রম করবে কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করবে; চাষের ও ফসল কাটার সময়েও বিশ্রাম করবে।

22. তুমি সাত সপ্তাহের উৎসব, অর্থাৎ কাটা গমের প্রথমে পাকা ফলের উৎসব এবং বছরের শেষভাগে ফলসংগ্রহের উৎসব পালন করবে।

23. বছরের মধ্যে তিন বার তোমাদের সমস্ত পুরুষ মানুষ ইসরাইলের আল্লাহ্‌ সার্বভৌম মাবুদের সাক্ষাতে উপস্থিত হবে।

24. কেননা আমি তোমার সম্মুখ থেকে জাতিদেরকে, দূর করে দেব ও তোমার সীমা বাড়িয়ে দেব এবং তুমি বছরের মধ্যে তিনবার তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের সম্মুখে উপস্থিত হবার জন্য গমন করলে তোমার ভূমিতে কেউ লোভ করবে না।

25. তুমি আমার কোরবানীর রক্ত খামিযুক্ত খাদ্যের সঙ্গে কোরবানী করবে না ও ঈদুল ফেসাখের উৎসবের কোরবানীর জিনিস সকাল পর্যন্ত রাখা যাবে না।

26. তুমি নিজের ভূমির প্রথমে পাকা ফলের অগ্রিমাংশ তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের গৃহে আনবে। তুমি ছাগলের বাচ্চাকে তার মায়ের দুধে সিদ্ধ করবে না।

27. আর মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি এসব কালাম লিপিবদ্ধ কর, কেননা আমি এসব কালাম অনুসারে তোমার ও ইসরাইলের সঙ্গে নিয়ম স্থির করলাম।

28. সেই সময়ে মূসা চল্লিশ দিন আর চল্লিশ রাত সেখানে মাবুদের সঙ্গে অবস্থান করলেন, খাদ্য ও পানি গ্রহণ করলেন না; তিনি সেই দু’টি পাথরে উপর নিয়মের কালামগুলো অর্থাৎ দশটি হুকুম লিখলেন।

29. পরে মূসা দু’টি শরীয়ত-ফলক হাতে নিয়ে তুর পর্বত থেকে নামলেন; যখন পর্বত থেকে নামলেন, তখন, মাবুদের সঙ্গে আলাপে তাঁর মুখমণ্ডল যে উজ্জ্বল হয়েছিল, তা মূসা বুঝতে পারলেন না।

30. পরে যখন হারুন ও সমস্ত বনি-ইসরাইল মূসাকে দেখতে পেল, তখন দেখ, তাঁর মুখ উজ্জ্বল, আর তারা তাঁর কাছে আসতে ভয় পেল।

31. কিন্তু মূসা তাদেরকে ডাকলে হারুন ও মণ্ডলীর নেতৃবৃন্দ তাঁর কাছে ফিরে আসলেন, আর মূসা তাঁদের সঙ্গে আলাপ করলেন।

32. এর পরে বনি-ইসরাইল সকলে তাঁর কাছে আসল; তাতে তিনি তুর পর্বতে কথিত মাবুদের সমস্ত হুকুম তাদেরকে জানালেন।

33. পরে তাদের সঙ্গে কথোপকথন সমাপ্ত হলে মূসা তাঁর মুখে আবরণ দিলেন।

34. কিন্তু মূসা যখন মাবুদের সঙ্গে কথা বলতে ভিতরে তাঁর সম্মুখে যেতেন তখন এবং যতক্ষণ সেখানে থাকতেন ততক্ষণ সেই আবরণ খুলে রাখতেন। পরে যে সমস্ত হুকুম পেতেন, বের হয়ে বনি-ইসরাইলকে তা বলতেন।

35. মূসার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল, এটা বনি-ইসরাইল তাঁর মুখের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখতো। পরে মূসা মাবুদের সঙ্গে কথা বলতে যে পর্যন্ত না যেতেন, সেই পর্যন্ত তাঁর মুখে পুনর্বার আবরণ দিয়ে রাখতেন।

হিজরত 34