10. সমস্ত লোক তাঁবুর দ্বারে অবস্থিত মেঘস্তম্ভ দেখতো ও সমস্ত লোক উঠে প্রত্যেকে নিজ নিজ তাঁবুর দরজার কাছে থেকে সেজ্দা করতো।
11. আর মানুষ যেমন তার বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করে, তেমনি মাবুদ মূসার সঙ্গে সামনা সামনি আলাপ করতেন। পরে মূসা শিবিরে ফিরে আসতেন কিন্তু নূনের পুত্র ইউসা নামে তাঁর যুব পরিচারক তাঁবুর মধ্য থেকে বাইরে যেতেন না।
12. আর মূসা মাবুদকে বললেন, দেখ, তুমি আমাকে বলছো এই লোকদেরকে নিয়ে যাও কিন্তু আমার সঙ্গী করে যাঁকে প্রেরণ করবে, তাঁর পরিচয় আমাকে দাও নি। তবুও বলছো আমি নাম দ্বারা তোমাকে জানি এবং তুমি আমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হয়েছ।
13. ভাল, যদি তোমার দৃষ্টিতে আমি অনুগ্রহের পাত্র হয়ে থাকি তবে আরজ করি, আমি যেন তোমাকে জেনে তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হই, এজন্য আমাকে তোমার সমস্ত পথ জানতে দাও এবং এই জাতি যে তোমার লোক তা বিবেচনা কর।
14. তখন তিনি বললেন, আমার উপস্থিতি তোমার সঙ্গে গমন করবেন এবং আমি তোমাকে বিশ্রাম দেব।
15. তাতে তিনি তাঁকে বললেন, তোমার উপস্থিতি যদি সঙ্গে না যান তবে এই স্থান থেকে আমাদেরকে নিয়ে যেও না।
16. কেননা আমি ও তোমার এই লোকেরা যে তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছি, তা কিসে জানা যাবে? আমাদের সঙ্গে তোমার গমন দ্বারা কি নয়? এর দ্বারাই আমি ও তোমার লোকেরা ভূমণ্ডলস্থ যাবতীয় জাতি থেকে বিশিষ্ট।
17. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, এই যে কথা তুমি বললে, তাও আমি করবো, কেননা তুমি আমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছে এবং আমি নাম দ্বারা তোমাকে জানি।
18. তখন তিনি বললেন, আরজ করি, তুমি আমাকে তোমার মহিমা দেখতে দাও।
19. আল্লাহ্ বললেন, আমি তোমার সম্মুখে আমার মহত্ত্ব প্রকাশ করবো ও মাবুদের নাম ঘোষণা করবো। আমি যাকে রহম করি, তাকে রহম করবো ও যার প্রতি করুণা করি, তার প্রতি করুণা করবো।
20. আরও বললেন, তুমি আমার মুখ দেখতে পাবে না, কেননা মানুষ আমাকে দেখলে বাঁচতে পারে না।
21. মাবুদ বললেন, দেখ, আমার কাছে একটি স্থান আছে; তুমি ঐ শৈলের উপরে দাঁড়াবে।
22. তাতে তোমার কাছ দিয়ে আমার মহিমা গমনকালে আমি তোমাকে শৈলের একটি ফাটলে রাখবো ও আমার গমনের শেষ পর্যন্ত হাত দিয়ে তোমাকে আচ্ছন্ন করবো;