14. তখন মাবুদ নিজের লোকদের যে অনিষ্ট করার কথা বলেছিলেন, তা থেকে ক্ষান্ত হলেন।
15. পরে মূসা মুখ ফিরালেন, শরীয়তের সেই দু’টি পাথরের ফলক হাতে নিয়ে পর্বত থেকে নামলেন। সেই পাথরের ফলকের এপিঠে ওপিঠে, দুই পিঠেই লেখা ছিল।
16. সেই পাথরের ফলক আল্লাহ্র তৈরি এবং সেই লেখা আল্লাহ্র লেখা, ফলকে খোদাই করা।
17. পরে ইউসা লোকদের কোলাহল শুনে মূসাকে বললেন, শিবিরে যুদ্ধের আওয়াজ হচ্ছে।
18. তিনি বললেন, ওটা তো জয়ধ্বনির আওয়াজ নয়, পরাজয়ের আর্তনাদও নয়; আমি গানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।
19. পরে মূসা শিবিরের কাছে আসলে পর ঐ বাছুর এবং নাচানাচি দেখতে পেলেন। তাতে তিনি ক্রোধে প্রজ্বলিত হয়ে পর্বতের তলে তাঁর হাত থেকে সেই দু’খানা পাথরের ফলক নিক্ষেপ করে ভেঙে ফেললেন।
20. আর তাদের তৈরি বাছুর নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন এবং তা ধূলির মত পিষে পানির উপরে ছড়িয়ে বনি-ইসরাইলকে পান করালেন।
21. পরে মূসা হারুনকে বললেন, ঐ লোকেরা তোমার কি করেছিল যে, তুমি ওদের উপরে এমন মহাগুনাহ্ বর্তালে?
22. হারুন বললেন, আমার মালিকের ক্রোধ প্রজ্বলিত না হোক; আপনি লোকদেরকে জানেন যে, তারা দুষ্টতায় আসক্ত।
23. তারা আমাকে বললো, আমাদের অগ্রগামী হবার জন্য আমাদের জন্য দেবতা তৈরি করুন, কেননা যে মূসা মিসর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছেন, সেই ব্যক্তির কি হল তা আমরা জানি না।
24. তখন আমি বললাম, তোমাদের মধ্যে যার যে সোনা থাকে, সে তা খুলে দিক। তারা আমাকে দিলে পর আমি তা আগুনে নিক্ষেপ করলে ঐ বাছুরটি বের হয়ে আসল।
25. পরে মূসা দেখলেন, লোকেরা স্বেচ্ছাচারী হয়েছে, কেননা হারুন দুশমনদের মধ্যে বিদ্রূপের জন্য তাদেরকে স্বেচ্ছাচারী হতে দিয়েছিলেন।
26. তখন মূসা শিবিরের দ্বারে দাঁড়িয়ে বললেন, মাবুদের পক্ষে কে? সে আমার কাছে আসুক। তাতে লেবির সন্তানেরা সকলে তাঁর কাছে একত্র হল।