হিজরত 32:10-23 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

10. এখন তুমি ক্ষান্ত হও, তাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ প্রজ্বলিত হোক, আমি তাদেরকে সংহার করি, আর তোমার মধ্য থেকে একটি বড় জাতি উৎপন্ন করি।

11. তখন মূসা তাঁর আল্লাহ্‌ মাবুদকে বিনয় করে বললেন, হে মাবুদ, তোমার যে লোকদেরকে তুমি মহাপরাক্রম ও বলবান হাতে মিসর দেশ থেকে বের করেছ, তাদের বিরুদ্ধে তোমার ক্রোধ কেন প্রজ্বলিত হবে?

12. মিসরীয়েরা কেন বলবে, অনিষ্টের জন্য, পর্বতময় অঞ্চলে তাদেরকে বিনষ্ট করতে ও দুনিয়া থেকে লোপ করতে, তিনি তাদেরকে বের করে এনেছেন? তুমি নিজের প্রচণ্ড ক্রোধ সংবরণ কর ও তোমার লোকদের অনিষ্টের সিদ্ধান্ত থেকে ক্ষান্ত হও।

13. তুমি নিজের গোলাম ইব্রাহিম, ইস্‌হাক ও ইয়াকুবকে স্মরণ কর, যাঁদের কাছে তুমি নিজের নামের কসম খেয়ে বলেছিলে, আমি আসমানের তারাগুলোর মত তোমাদের বংশবৃদ্ধি করবো এবং এই যে সমস্ত দেশের কথা বললাম তা তোমাদের বংশকে দেব, তারা চিরকালের জন্য তা অধিকার করবে।

14. তখন মাবুদ নিজের লোকদের যে অনিষ্ট করার কথা বলেছিলেন, তা থেকে ক্ষান্ত হলেন।

15. পরে মূসা মুখ ফিরালেন, শরীয়তের সেই দু’টি পাথরের ফলক হাতে নিয়ে পর্বত থেকে নামলেন। সেই পাথরের ফলকের এপিঠে ওপিঠে, দুই পিঠেই লেখা ছিল।

16. সেই পাথরের ফলক আল্লাহ্‌র তৈরি এবং সেই লেখা আল্লাহ্‌র লেখা, ফলকে খোদাই করা।

17. পরে ইউসা লোকদের কোলাহল শুনে মূসাকে বললেন, শিবিরে যুদ্ধের আওয়াজ হচ্ছে।

18. তিনি বললেন, ওটা তো জয়ধ্বনির আওয়াজ নয়, পরাজয়ের আর্তনাদও নয়; আমি গানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।

19. পরে মূসা শিবিরের কাছে আসলে পর ঐ বাছুর এবং নাচানাচি দেখতে পেলেন। তাতে তিনি ক্রোধে প্রজ্বলিত হয়ে পর্বতের তলে তাঁর হাত থেকে সেই দু’খানা পাথরের ফলক নিক্ষেপ করে ভেঙে ফেললেন।

20. আর তাদের তৈরি বাছুর নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলেন এবং তা ধূলির মত পিষে পানির উপরে ছড়িয়ে বনি-ইসরাইলকে পান করালেন।

21. পরে মূসা হারুনকে বললেন, ঐ লোকেরা তোমার কি করেছিল যে, তুমি ওদের উপরে এমন মহাগুনাহ্‌ বর্তালে?

22. হারুন বললেন, আমার মালিকের ক্রোধ প্রজ্বলিত না হোক; আপনি লোকদেরকে জানেন যে, তারা দুষ্টতায় আসক্ত।

23. তারা আমাকে বললো, আমাদের অগ্রগামী হবার জন্য আমাদের জন্য দেবতা তৈরি করুন, কেননা যে মূসা মিসর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে এনেছেন, সেই ব্যক্তির কি হল তা আমরা জানি না।

হিজরত 32