36. তুমি কাফ্ফারার জন্য প্রতিদিন গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে এক একটি ষাঁড় কোরবানী করবে; কাফ্ফারা করে কোরবানগাহ্কে পবিত্র করবে, আর তা তেল ঢেলে অভিষেক করবে।
37. তুমি কোরবানগাহ্র জন্য সাত দিন কাফ্ফারা দিয়ে তা পবিত্র করবে; তাতে কোরবানগাহ্ অতি পবিত্র হবে; কেউ যদি কোরবানগাহ্ সপর্শ করে, তাকে পবিত্র হতে হবে।
38. সেই কোরবানগাহ্র উপরে তুমি এ সমস্ত কোরবানী করবে; নিয়মিতভাবে প্রতি-দিন এক বছর বয়সের দু’টি ভেড়ার বাচ্চা;
39. একটি ভেড়ার বাচ্চা খুব ভোরে ও অন্যটি সন্ধ্যাবেলা কোরবানী করবে।
40. আর প্রথম ভেড়ার বাচ্চার সঙ্গে এক হিনের চার ভাগের একভাগ ছেঁচা জলপাইয়ের তেল (ঐফা) পাত্রের দশ ভাগের এক ভাগ ময়দার সংগে মিশিয়ে এবং পেয় উৎসর্গের জন্য হিনের চার ভাগের এক ভাগ আঙ্গুর-রস উৎসর্গ করবে।
41. পরে তৃতীয় ভেড়ার বাচ্চাটি সন্ধ্যাবেলা কোরবানী করবে এবং সকাল বেলার মত শস্য-উৎসর্গ ও পেয় উৎসর্গের সঙ্গে তাও মাবুদের উদ্দেশে খোশবুযুক্ত অগ্নিকৃত উপহার হিসেবে কোরবানী করবে।
42. এটি তোমাদের পুরুষানুক্রমে নিয়মিত ভাবে (কর্তব্য) পোড়ানো কোরবানী; জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে মাবুদের সম্মুখে, যে স্থানে আমি তোমার সঙ্গে আলাপ করতে তোমাদের কাছে দেখা দেব, সেই স্থানে এ উৎসর্গ করা কর্তব্য।
43. সেখানে আমি বনি-ইসরাইলদের কাছে দেখা দেব এবং আমার মহিমায় তাঁবু পবিত্র হবে।
44. আর আমি জমায়েত-তাঁবু ও কোরবানগাহ্ পবিত্র করবো এবং আমার ইমামের কাজ করার জন্য হারুনকে ও তার পুত্রদেরকে পবিত্র করবো।
45. আর আমি বনি-ইসরাইলদের মধ্যে বাস করবো ও তাদের আল্লাহ্ হবো।
46. তাতে তারা জানবে যে, আমি মাবুদ, তাদের আল্লাহ্, আমি তাদের মধ্যে বাস করার জন্য মিসর দেশ থেকে তাদেরকে বের করে এনেছি; আমিই মাবুদ, তাদের আল্লাহ্।