4. তোমার দুশমনের গরু কিংবা গাধাকে পথহারা দেখলে তুমি অবশ্যই তার কাছে তাকে নিয়ে যাবে।
5. তুমি তোমার দুশমনের গাধাকে বোঝার ভারে পড়ে যেতে দেখলে, যদিও তাকে ভারমুক্ত করতে অনিচ্ছুক হও, তবুও অবশ্যই সেটিকে ভারমুক্ত করবে।
6. দরিদ্র প্রতিবেশীর বিচারে তার প্রতি অন্যায় করো না।
7. মিথ্যা বিষয় থেকে দূরে থেকো এবং নির্দোষের বা ধার্মিকের প্রাণ নষ্ট করো না, কেননা আমি দুষ্টকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করবো না।
8. আর তুমি ঘুষ গ্রহণ করো না, কেননা ঘুষ কর্মকর্তাদের চোখ অন্ধ করে এবং ধার্মিকদের সমস্ত কথা উল্টে দেয়।
9. আর তুমি বিদেশীর ওপর জুলুম করো না; তোমরা তো বিদেশীর অন্তর জান, কেননা তোমরা মিসর দেশে বিদেশী ছিলে।
10. তুমি তোমার ভূমিতে ছয় বছর যাবৎ বীজ বপন ও উৎপন্ন শস্য সংগ্রহ করো।
11. কিন্তু সপ্তম বছরে তাকে বিশ্রাম দিও, ফেলে রেখো; তাতে তোমার স্বজাতির দরিদ্ররা খেতে পাবে। আর তারা যা অবশিষ্ট রাখে তা মাঠের পশুতে খাবে। তোমার আঙ্গুর-ক্ষেতের ও জলপাই গাছের বিষয়েও সেরকম করো।
12. তুমি ছয় দিন তোমার কাজ করো কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করো; যেন তোমার গরু ও গাধা বিশ্রাম পায় এবং তোমার বাড়িতে জন্মেছে এমন বাঁদীর পুত্র ও বিদেশী লোকের প্রাণ জুড়ায়।
13. আমি তোমাদেরকে যা যা বললাম, সমস্ত বিষয়ে সাবধান থেকো। অন্য দেবতাদের নাম মুখে উচ্চারণ করো, তোমাদের মুখে যেন তা শোনা না যায়।
14. তুমি বছরের মধ্যে তিনবার আমার উদ্দেশে ঈদ পালন করো।
15. খামিহীন রুটির ঈদ পালন করো; আমার হুকুম অনুসারে, নির্ধারিত সময়ে, আবীব মাসে সাতদিন খামিহীন রুটি ভোজন করো, কেননা এই মাসে তুমি মিসর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছ। আর কেউ খালি হাতে আমার কাছে উপস্থিত না হোক।
16. আর তুমি শস্য কাটার ঈদ, অর্থাৎ ক্ষেতে যা যা বুনেছ, তার প্রথমে পাকা ফলের উৎসব পালন করো। আর বছরের শেষে ক্ষেত থেকে ফল সংগ্রহের কালে ফলসঞ্চয়ের ঈদ পালন করো।
17. বছরের মধ্যে তিনবার তোমার সমস্ত পুরুষেরা সার্বভৌম মাবুদের সাক্ষাতে উপস্থিত হবে।
18. তুমি আমার কোরবানীর রক্ত খামিযুক্ত দ্রব্যের সঙ্গে নিবেদন করো না; আর আমার উৎসব সম্পর্কীয় চর্বি সকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত না থাকুক।
19. তোমার ভূমির প্রথমে পাকা ফলের প্রথম অংশ তোমার আল্লাহ্ মাবুদের গৃহে এনো। ছাগলের বাচ্চাকে তার মায়ের দুধে রান্না করো না।