16. আর কেউ যদি কোন মানুষকে চুরি করে বিক্রি করে, কিংবা তার হাতে যদি তাকে পাওয়া যায় তবে তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
17. আর যে কেউ তার পিতা বা তার মাতাকে বদদোয়া দেয় তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
18. আর মানুষেরা ঝগড়া করে এক জন অন্যকে পাথরের আঘাত কিংবা ঘুষি মারলে সে যদি না মারা গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকে,
19. আর তারপর উঠে লাঠি অবলম্বন করে বাইরে বেড়ায় তবে সেই আঘাতকারী দণ্ড পাবে না; কেবল তার কর্মক্ষতির ও চিকিৎসার ব্যয় তাকে দিতে হবে।
20. আর কেউ তার গোলামকে কিংবা বাঁদীকে লাঠি দ্বারা প্রহার করলে সে যদি তার হাতে মারা যায় তবে সে অবশ্য দণ্ডনীয় হবে।
21. কিন্তু সে যদি দু’এক দিন বাঁচে তবে তার মালিক দণ্ড ভোগ করবে না, কেননা সে তার সম্পত্তিস্বরূপ।
22. আর পুরুষেরা ঝগড়া করে কোন গর্ভবতী স্ত্রীকে প্রহার করলে যদি তার গর্ভপাত হয় কিন্তু পরে আর কোন বিপদ না ঘটে তবে ঐ স্ত্রীর স্বামীর দাবী অনুসারে অবশ্যই তার অর্থদণ্ড হবে ও সে বিচারকদের বিচার অনুযায়ী টাকা দেবে।
23. কিন্তু যদি কোন বিপদ ঘটে তবে তোমাকে এই দায় পরিশোধ করতে হবে;
24. প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা,
25. পোড়ানোর বদলে পোড়ানো, ক্ষতের বদলে ক্ষত, কালশিরার বদলে কালশিরা।
26. আর কেউ তার গোলাম বা বাঁদীর চোখে আঘাত করলে যদি তা নষ্ট হয় তবে তার চোখ নষ্ট হওয়ার জন্য সে তাকে মুক্ত করবে।
27. আর আঘাত দ্বারা তার গোলাম কিংবা বাঁদীর দাঁত ভেঙে ফেললে ঐ দাঁতের জন্য সে তাকে মুক্ত করবে।
28. আর কোন গরু যদি কোন পুরুষ বা স্ত্রীকে শিং দিয়ে আঘাত করলে পর মারা যায় তবে ঐ গরু অবশ্যই পাথরের আঘাতে মেরে ফেলতে হবে এবং তার গোশ্ত অখাদ্য হবে; কিন্তু গরুর মালিক দণ্ড পাবে না।
29. তবে সেই গরুটি আগে শিং দিয়ে আঘাত করতো, এর প্রমাণ পেলেও তার মালিক তাকে সাবধানে না রাখাতে যদি সে কোন পুরুষ কিংবা স্ত্রীকে হত্যা করে তবে সে গরু পাথরের আঘাতে হত্যা করা যাবে এবং তার মালিকেরও প্রাণদণ্ড হবে।
30. যদি তার জন্য কাফ্ফারা নির্ধারিত হয় তবে সে প্রাণের মুক্তির জন্য নির্ধারিত সমস্ত মূল্য দেবে।