2. তখন মূসার শ্বশুর শোয়াইব মূসার স্ত্রীকে, পিত্রালয়ে প্রেরিত সফুরাকে ও তাঁর দুই পুত্রকে সঙ্গে নিলেন।
3. ঐ দু’টি পুত্রের মধ্যে একজনের নাম গের্শোম (তত্রপ্রবাসী), কেননা তিনি বলেছিলেন, আমি পরদেশে প্রবাসী হয়েছি।
4. আর একজনের নাম ইলীয়েষর (আল্লাহ্ সহায়), কেননা তিনি বলেছিলেন, আমার পিতার আল্লাহ্ আমার সহায় হয়ে ফেরাউনের তলোয়ার থেকে আমাকে উদ্ধার করেছেন।
5. মূসার শ্বশুর শোয়াইব তাঁর দুই পুত্র ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মরুভূমিতে মূসার কাছে, আল্লাহ্র পর্বতে যে স্থানে তিনি শিবির স্থাপন করেছিলেন, সেই স্থানে আসলেন।
6. আর তিনি মূসাকে বললেন, আমি তোমার শ্বশুর শোয়াইব এবং তোমার স্ত্রী ও তাঁর সঙ্গে তার দুই পুত্র, আমরা তোমার কাছে এসেছি।
7. তখন মূসা তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে দেখা করতে বাইরে গেলেন ও ভূমিতে উবুড় হয়ে সালাম জানিয়ে তাঁকে চুম্বন করলেন এবং একে অপরের কুশল জিজ্ঞাসা করলেন। পরে তাঁরা তাঁবুতে প্রবেশ করলেন।
8. আর মাবুদ ইসরাইলের জন্য ফেরাউনের প্রতি ও মিসরীয়দের প্রতি যা যা করেছিলেন এবং পথে তাদের যে যে কষ্ট ঘটেছিল ও মাবুদ যেভাবে তাদেরকে উদ্ধার করেছিলেন, সেসব বৃত্তান্ত মূসা তাঁর শ্বশুরকে বললেন।
9. মাবুদ মিসরীয়দের হাত থেকে ইসরাইলকে উদ্ধার করে তাদের যে সমস্ত মঙ্গল করেছিলেন, সেজন্য শোয়াইব আনন্দিত হলেন।
10. তখন শোয়াইব বললেন, মাবুদ ধন্য হোন, যিনি মিসরীয়দের হাত থেকে ও ফেরাউনের হাত থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, যিনি মিসরীয়দের অধীনতা থেকে এই লোকদেরকে উদ্ধার করেছেন।
11. এখন আমি জানি সমস্ত দেবতা থেকে মাবুদ মহান; সেই বিষয়ে মহান, যে বিষয়ে ওরা এদের বিপক্ষে গর্ব করতো।
12. পরে মূসার শ্বশুর শোয়াইব আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো কোরবানী ও অন্যান্য কোরবানী উপস্থিত করলেন এবং হারুন ও ইসরাইলের সমস্ত প্রাচীন ব্যক্তিবৃন্দ এসে আল্লাহ্র সম্মুখে মূসার শ্বশুরের সঙ্গে আহার করলেন।
13. পরদিন মূসা লোকদের বিচার করতে বসলেন, আর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকেরা মূসার কাছে দাঁড়িয়ে রইলো।
14. তখন লোকদের প্রতি মূসা যা যা করছেন, তাঁর শ্বশুর তা দেখে বললেন, তুমি লোকদের প্রতি এ কেমন ব্যবহার করছো? কেন তুমি একাকী আসনে বসে থাক, আর সমস্ত লোক সকাল থেকে সন্ধ্যাকাল পর্যন্ত তোমার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে?
15. মূসা তাঁর শ্বশুরকে বললেন, লোকেরা খোদায়ী বিচার কি তা জানবার জন্য আমার কাছে আসে;