15. আর তা দেখে বনি-ইসরাইল একে অপরকে বললো, ওটা কি? কেননা তা কি, তারা জানত না। তখন মূসা বললেন, ওটা সেই রুটি, যা মাবুদ তোমাদেরকে আহার করার জন্য দিয়েছেন।
16. এরই বিষয়ে মাবুদ এই হুকুম দিয়েছেন, তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ ভোজনশক্তি অনুসারে তা কুড়াও; তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ তাঁবুর লোকদের সংখ্যা অনুসারে একেক জনের জন্য একেক ওমর পরিমাণে এগুলো কুড়াও।
17. তাতে বনি-ইসরাইলেরা তা-ই করলো; কেউ বেশি আবার কেউ অল্প কুড়ালো।
18. পরে ওমরে তা মাপা হলে, যে বেশি সংগ্রহ করেছিল, তার অতিরিক্ত হল না এবং যে অল্প সংগ্রহ করেছিল, তার অভাব হল না; তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ভোজন ক্ষমতা অনুসারে কুড়িয়েছিল।
19. আর মূসা বললেন, তোমরা কেউ সকাল বেলার জন্য এর কিছু রেখো না।
20. তবুও কেউ কেউ মূসার কথা না মেনে সকাল বেলার জন্য কিছু কিছু রাখল, তখন তাতে কীট জন্মালো ও দুর্গন্ধ হল; আর মূসা তাদের উপরে ক্রুদ্ধ হলেন।
21. এভাবে প্রতিদিন খুব ভোরে তারা নিজ নিজ ভোজনশক্তি অনুসারে কুড়ালো কিন্তু রৌদ্র প্রখর হলে তা গলে যেত।
22. পরে ষষ্ঠ দিনে তারা দ্বিগুণ খাদ্য, প্রত্যেক জনের জন্য দুই ওমর করে কুড়ালো, আর বনি-ইসরাইলদের নেতৃবর্গেরা সকলে এসে মূসাকে তা জানালেন,
23. তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, মাবুদ তা-ই বলেছিলেন; আগামীকাল বিশ্রামবার, মাবুদের উদ্দেশে পবিত্র বিশ্রামবার; তোমাদের যা ভেজে নেবার ভেজে নাও ও যা রান্না করার রান্না কর; আর যা অতিরিক্ত, তা সকাল বেলার জন্য তুলে রাখ।
24. তাতে তারা মূসার হুকুম অনুসারে সকাল পর্যন্ত তা রাখল কিন্তু তাতে দুর্গন্ধ হল না, কীটও জন্মালো না।