18. আর ফেরাউন ও তার সমস্ত রথ ও তার ঘোড়সওয়ারদের দ্বারা আমি মহিমান্বিত হলে মিসরীয়েরা জানতে পারবে যে, আমিই মাবুদ।
19. তখন ইসরাইল সৈন্যদের আগে আল্লাহ্র যে ফেরেশতা ছিলেন তিনি সরে গিয়ে তাদের পিছনে গেলেন এবং মেঘস্তম্ভ তাদের সম্মুখ থেকে সরে গিয়ে তাদের পিছনে চলে গেলো।
20. মেঘস্তম্ভটি মিসরের শিবির ও ইসরাইলের শিবির, এই উভয়ের মধ্যে দাঁড়ালো। তাতে সেখানে মেঘ ও অন্ধকার থাকলো, তবু তা রাতে আলো দান করলো। এর ফলে সমস্ত রাতে এক দল অন্য দলের কাছে এলো না।
21. মূসা সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন, তাতে মাবুদ সমস্ত রাত প্রবল পূর্বীয় বায়ু দ্বারা সমুদ্রকে সরিয়ে দিলেন ও তা শুকনো ভূমি করলেন, তাতে পানি দু’ভাগ হয়ে গেলো।
22. আর বনি-ইসরাইলরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করলো এবং তাদের ডানে ও বামে পানি প্রাচীর-স্বরূপ হল।
23. পরে মিসরীয়েরা, ফেরাউনের সমস্ত ঘোড়া ও রথ এবং ঘোড়সওয়াররা ধাবমান হয়ে তাদের পিছনে পিছনে সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করলো।
24. কিন্তু রাতের শেষ প্রহরে মাবুদ আগুন ও মেঘস্তম্ভ থেকে মিসরীয়দের সৈন্যের উপরে দৃষ্টিপাত করলেন ও মিসরীয়দের সৈন্যদেরকে ভয় ধরিয়ে দিলেন।
25. আর তিনি তাদের রথের চাকাগুলো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেন, তাতে তারা অতি কষ্টে রথ চালাতে লাগল; তখন মিসরীয়েরা বললো, চল, আমরা ইসরাইলের সম্মুখ থেকে পালিয়ে যাই, কেননা মাবুদ তাদের পক্ষ হয়ে মিসরীয়দের বিপক্ষে যুদ্ধ করছেন।
26. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি সমুদ্রের উপরে হাত বাড়িয়ে দাও; তাতে পানি ফিরে মিসরীয়দের উপরে ও তাদের রথের উপরে ও ঘোড়সওয়ারদের উপরে আসবে।
27. তখন মূসা সমুদ্রের উপরে হাত বাড়িয়ে দিলেন, আর সকাল হতে না হতে সমুদ্র পুনরায় সমান হয়ে গেল; তাতে মিসরীয়েরা তার দিকেই পালিয়ে গেল; আর মাবুদ সমুদ্রের মধ্যে মিসরীয়দেরকে ঠেলে দিলেন।
28. পানি ফিরে এলো ও তাদের রথ ও ঘোড়সওয়ারদেরকে গ্রাস করলো, তাতে ফেরাউনের যে সমস্ত সৈন্য তাদের পিছনে সমুদ্রে নেমেছিল তাদের এক জনও অবশিষ্ট রইলো না।