34. তাতে ময়দার তালে খামি মেশাবার আগে লোকেরা পাত্রসহ ময়দার তাল নিজ নিজ কাপড়ে বেঁধে কাঁধে নিল।
35. আর বনি-ইসরাইলেরা মূসার কথা অনুসারে কাজ করলো; ফলে তারা মিসরীয়দের কাছে রূপার অলংকার, সোনার অলংকার ও কাপড় চাইলো।
36. আর মাবুদ মিসরীয়দের কাছে তাদেরকে অনুগ্রহের পাত্র করলেন, তাই তারা যা চাইলো, মিসরীয়েরা তাদেরকে তা-ই দিল। এভাবে তারা মিসরীয়দের ধন হরণ করলো।
37. তখন বনি-ইসরাইলেরা শিশু ছাড়া কমবেশ ছয় লক্ষ পদাতিক পুরুষ রামিষেষ থেকে সুক্কোতে যাত্রা করলো।
38. আর তাদের সঙ্গে মিশ্রিত লোকদের বিশাল জনতা এবং ভেড়া ও গরুর পাল সহ বিরাট সংখ্যক পশু প্রস্থান করলো।
39. পরে তারা মিসর থেকে আনা ছানা ময়দার তাল দিয়ে খামিহীন পিঠা প্রস্তুত করলো, কেননা তাতে খামি মিশানো হয় নি, কারণ তারা মিসর থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল, সুতরাং বিলম্ব করতে না পারাতে নিজেদের জন্য খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করে নি।
40. বনি-ইসরাইলেরা চার শত ত্রিশ বছর মিসরে বাস করেছিল।
41. সেই চার শত ত্রিশ বছরের শেষে, ঐ দিনে, মাবুদের সমস্ত বাহিনী মিসর দেশ থেকে বের হল।
42. মিসর দেশ থেকে তাদেরকে বের করে আনবার দরুন এই রাত ছিল মাবুদের উদ্দেশে অতীব পালনীয় রাত। সমস্ত বনি-ইসরাইলের পুরুষানুক্রমে এই রাত মাবুদের উদ্দেশে অবশ্য পালনীয়।
43. আর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন, ঈদুল ফেসাখের কোরবানীর নিয়ম এই রকম; বিদেশী কোন লোক তা ভোজন করবে না।
44. কিন্তু কোন ব্যক্তির যে গোলামকে রূপা দ্বারা ক্রয় করা হয়েছে, তার যদি খৎনা হয়ে থাকে তবে সে খেতে পারবে।
45. প্রবাসী কিংবা বেতনজীবী তা খেতে পারবে না।
46. তোমরা একটি বাড়ির মধ্যে তা ভোজন করো; সেই গোশ্তের কিছুই বাড়ির বাইরে নিয়ে যেও না এবং তার একটি অস্থিও ভেঙ্গো না।
47. সমস্ত বনি-ইসরাইল এই ঈদ পালন করবে।
48. আর তোমার সঙ্গে প্রবাসী কোন বিদেশী লোক যদি মাবুদের উদ্দেশে ঈদুল ফেসাখ পালন করতে চায়, তবে সে নিজের পরিবারের অন্যান্য পুরুষের সঙ্গে নিজের খৎনা করিয়ে এই ঈদ পালন করার জন্য আগমন করুক, সে তখন দেশজাত লোকের মতই হবে; কিন্তু খৎনা হয় নি এমন কোন লোক তা ভোজন করবে না।