14. তাতে সমস্ত মিসর দেশের উপরে পঙ্গপাল এসে বসতে লাগল ও মিসরের সমস্ত সীমাতে পঙ্গপাল ছড়িয়ে পড়লো। তা অত্যন্ত ভয়ানক হল; সেরকম পঙ্গপাল আগে কখনও হয় নি এবং পরেও কখনও হবে না।
15. তারা সমস্ত জায়গা আচ্ছন্ন করে ফেলল, তাতে দেশ অন্ধকার হল এবং ভূমির যে সবুজ লতাগুল্ম ও গাছপালার যে ফল শিলাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেয়েছিল, সেসব তারা খেয়ে ফেললো; সমস্ত মিসর দেশে গাছ বা ক্ষেতের সমস্ত সবুজ লতাগুল্ম কিছুই রইলো না।
16. তখন ফেরাউন তাড়াতাড়ি মূসা ও হারুনকে ডেকে এনে বললেন, আমি তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের বিরুদ্ধে ও তোমাদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছি।
17. আরজ করি, কেবল এবার আমার গুনাহ্ মাফ কর এবং আমার কাছ থেকে এই মৃত্যুর ছায়াকে দূর করার জন্য তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের কাছে ফরিয়াদ কর।
18. তখন তিনি ফেরাউনের কাছ থেকে বাইরে গিয়ে মাবুদের কাছে ফরিয়াদ জানালেন;
19. আর মাবুদ অতি প্রবল পশ্চিম বায়ু আনলেন, তা পঙ্গ-পালদেরকে উঠিয়ে নিয়ে লোহিত সাগরে তাড়িয়ে দিল, তাতে মিসরের সমস্ত সীমাতে একটা পঙ্গপালও অবশিষ্ট রইলো না।
20. কিন্তু মাবুদ ফেরাউনের অন্তর কঠিন করলেন, আর তিনি বনি-ইসরাইলদেরকে ছেড়ে দিলেন না।
21. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি আসমানের দিকে হাত বাড়িয়ে দাও; তাতে মিসর দেশে অন্ধকার হবে ও সেই অন্ধকার সপর্শ করা যাবে।
22. পরে মূসা আসমানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন; তাতে তিন দিন পর্যন্ত সমস্ত মিসর দেশ গাঢ় অন্ধকারে ডুবে রইলো।
23. তিন দিন পর্যন্ত কেউ কারো মুখ দেখতে পেল না এবং কেউ তার স্থান থেকে উঠলো না; কিন্তু বনি-ইসরাইলদের জন্য তাদের বাসস্থানে আলো ছিল।
24. তখন ফেরাউন মূসাকে ডেকে এনে বললেন, যাও, তোমরা গিয়ে মাবুদের সেবা কর; কেবল তোমাদের ভেড়ার পাল ও গরুর পাল থাকুক; তোমাদের শিশুরাও তোমাদের সঙ্গে যাক।
25. মূসা বললেন, আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করার জন্য আমাদের হাতে কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানীর দ্রব্য দেওয়া আপনার কর্তব্য।
26. আমাদের সঙ্গে আমাদের পশুও যাবে, একটি খুরও অবশিষ্ট থাকবে না; কেননা আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের এবাদত করার জন্য তাদের মধ্য থেকে কোরবানীর জিনিস নিতে হবে এবং কি কি দিয়ে মাবুদের এবাদত করবো তা সেই স্থানে উপস্থিত না হলে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।