11. বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি একবার ইমামদেরকে শরীয়তের বিষয় জিজ্ঞাসা কর,
12. বল, কেউ যদি তার পোশাকের ভাঁজে পবিত্র মাংস বহন করে, আর সেই অঞ্চলে রুটি বা সিদ্ধ সব্জি বা আঙ্গুর-রস বা তেল বা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ করা হয়, তবে সেই দ্রব্য কি পবিত্র হবে? ইমামেরা জবাবে বললেন, না।
13. তখন হগয় বলিলেন, লাশের স্পর্শে নাপাক হওয়া কোন লোক যদি এর মধ্যে কোন দ্রব্য স্পর্শ করে, তবে তা কি নাপাক হবে? ইমামেরা জবাবে বললেন, তা নাপাক হবে।
14. তখন হগয় জবাবে বললেন, মাবুদ বলেন, আমার সম্মুখে এই বংশ তদ্রূপ ও এই জাতিও তদ্রূপ; তাদের হাতের সমস্ত কাজও তদ্রূপ; এবং ঐ স্থানে তারা যা কোরবানী করে তা নাপাক।
15. এখন, ফরিয়াদ করি, আজকের আগে যত দিন মাবুদের এবাদতখানায় প্রস্তরের উপরে প্রস্তর স্থাপিত ছিল না, সেই সকল দিন নিয়ে আলোচনা কর।
16. সেই সকল দিনে তোমাদের মধ্যে কেউ বিশ কাঠা শস্যরাশির কাছে আসলে কেবল দশ কাঠা পেত এবং আঙ্গুরের কুণ্ড থেকে পঞ্চাশ পাত্র পরিমাণ আঙ্গুর-রস নিতে আসলে কেবল বিশ পাত্র পেত।
17. আমি শস্যের শোষ, ম্লানি ও শিলাবৃষ্টি দ্বারা তোমাদের হাতের সমস্ত কাজে তোমাদেরকে আঘাত করতাম, তবুও তোমরা আমার প্রতি ফিরতে না, এই কথা মাবুদ বলেন।
18. ফরিয়াদ করি, আজকের দিন থেকে এবং এর পরেও আলোচনা কর, নবম মাসের চব্বিশ দিনের দিন থেকে, মাবুদের এবাদতখানার ভিত্তিমূল স্থাপনের দিন থেকে, আলোচনা কর।
19. গোলায় কি কিছু বীজ অবশিষ্ট আছে? আর আঙ্গুর, ডুমুর, ডালিম এবং জলপাই-গাছও ফলে নি। কিন্তু আজ থেকে আমি আশীর্বাদ করবো।
20. পরে মাসের চব্বিশ দিনের দিন মাবুদের এই কালাম দ্বিতীয় বার হগয়ের নিকটে নাজেল হল;
21. তুমি এহুদার শাসনকর্তা সরুব্বাবিলকে এই কথা বল, আমি আসমান ও জমিনকে কাঁপিয়ে তুলব;
22. আর বাদশাহ্দের সিংহাসন উল্টে ফেলবো, জাতিদের সকল রাজ্যের পরাক্রম নষ্ট করবো, রথ ও রথারোহীদেরকে উল্টে ফেলব এবং ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ারেরা আপন আপন ভাইয়ের তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে।