10. আর অষ্টম দিনে সে দু’টি ঘুঘু কিংবা দু’টি কবুতরের বাচ্চা জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে ইমামের কাছে আনবে।
11. ইমাম তাদের একটি গুনাহ্র জন্য, অন্যটি পোড়ানো-কোরবানীর জন্য নিবেদন করে মৃত লাশের দরুন তার কৃত গুনাহ্র জন্য কাফ্ফারা দেবে; আর সেই দিনে তাকে পবিত্র করবে।
12. আবার সে তার পৃথক্ থাকবার দিনগুলোতে মাবুদের উদ্দেশে পৃথক থাকবে এবং দোষ-কোরবানী হিসেবে এক বছরের একটি ভেড়ার বাচ্চা আনবে। আর তার পৃথক হয়ে থাকবার দিনগুলো নাপাক হওয়াতে তার পূর্বগত সমস্ত দিন নিরর্থক হবে।
13. আর নাসরীয় ব্রতের ব্যবস্থা এই— তার পৃথক থাকবার দিন সমপূর্ণ হলে পর তাকে জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে আনা হবে।
14. পরে সে মাবুদের উদ্দেশে তার উপহার কোরবানী করবে; পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এক বছর বয়েসী নিখুঁত এক ভেড়ার বাচ্চা ও গুনাহ্-কোরবানীর জন্য এক বছরের নিখুঁত একটি ভেড়ীর বাচ্চা ও মঙ্গল-কোরবানী জন্য নিখুঁত একটি ভেড়া,
15. আর এক ঝুড়ি খামিহীন রুটি, তেল মিশানো মিহি সুজির পিঠা, খামিহীন তৈলাক্ত সরু চাকলী ও তার উপযুক্ত শস্য-উৎসর্গ এবং পেয় উৎসর্গ ইত্যাদি আনবে।
16. আর ইমাম মাবুদের সম্মুখে এসব উপস্থিত করে তার গুনাহ্-কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানী দেবে।
17. পরে খামিহীন রুটির ঝুড়ির সঙ্গে মঙ্গল-কোরবানীর ভেড়া মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করবে এবং ইমাম এর সঙ্গে শস্য-উৎসর্গ ও পেয় উৎসর্গ নিবেদন করবে।
18. পরে নাসরীয় জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে তার পৃথক থাকবার চিহ্নস্বরূপ মাথা মুণ্ডন করবে ও তার পৃথক থাকবার চিহ্ন যে মাথার চুল, তা নিয়ে মঙ্গল-কোরবানীর নিচে থাকা আগুনে রাখবে।
19. আর নাসরীয় ব্রতধারীর মাথা মুণ্ডনের পরে ইমাম ঐ ভেড়ার সিদ্ধ কাঁধ ও ঝুড়ি থেকে খামিহীন একখানি পিঠা ও একখানি খামিহীন চাপাটি নিয়ে তার হাতে দেবে।
20. আর ইমাম সেসব দোলনীয় নৈবেদ্য-কোরবানী জন্য মাবুদের সম্মুখে দোলাবে; তাতে দোলনীয় বুকের গোশ্ত ও উত্তোলনীয় জঙ্ঘা সহ তা ইমামের জন্য পবিত্র হবে; তারপর নাসরীয় ব্যক্তি আঙ্গুর-রস পান করতে পারবে।
21. নাসরীয় ব্রতধারীকে এই নিয়ম পালন করতে হবে। পৃথক থাকবার দিনগুলোর জন্য মাবুদকে তার নির্দিষ্ট উপহার দিতে হবে। এছাড়া, তার সংস্থান অনুসারে সে আরও যা কিছু দিতে মানত করেছে তা দিতে হবে।