1. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
2. তুমি বনি-ইসরাইলকে হুকুম কর, যেন তারা প্রত্যেক কুষ্ঠীকে, প্রত্যেক প্রমেহীকে ও মৃত লাশ স্পর্শ করার ফলে যারা নাপাক তাদের প্রত্যেকজনকে শিবির থেকে বের করে দেয়।
3. তোমরা পুরুষ ও স্ত্রীলোককে বের কর, তাদেরকে শিবির থেকে বের কর। তাদের যে শিবিরের মধ্যে আমি বাস করি, তারা যেন তা নাপাক না করে।
4. তখন বনি-ইসরাইল সেরকম কাজ করলো, তাদেরকে শিবির থেকে বের করে দিল; মাবুদ মূসাকে যেমন বলেছিলেন, বনি-ইসরাইল তেমনি করলো।
5. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
6. তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, পুরুষ কিংবা স্ত্রী হোক, যখন কেউ মানুষের মধ্যে প্রচলিত কোন গুনাহ্ করে মাবুদের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ করে, আর সেই প্রাণী দণ্ডনীয় হয়,
7. তখন সে যে গুনাহ্ করেছে তা স্বীকার করবে ও তার অপরাধের জন্য তার মূল দ্রব্য ও তার পঞ্চমাংশের এক অংশ বেশি, যার বিরুদ্ধে দোষ করেছে, তাকে দেবে।
8. কিন্তু যাকে দোষের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, এমন মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি যদি সেই ব্যক্তির না থাকে, তবে দোষের ক্ষতিপূরণ মাবুদের উদ্দেশে ইমামকে দিতে হবে; তা ছাড়া, যা দ্বারা তার কাফ্ফারা হয়, সেই কাফ্ফারার ভেড়াও দিতে হবে।
9. আর বনি-ইসরাইল নিজেদের পবিত্র বস্তুর মধ্যে যত উত্তোলনীয় উপহার ইমামের কাছে আনে, সেসব তার হবে।
10. যে পবিত্র বস্তু যার দ্বারা নিবেদিত হয়, তা তারই হবে; কোন ব্যক্তি যে কোন বস্তু ইমামকে দেয়, তা তার হবে।
11. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
12. তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, কোন ব্যক্তির স্ত্রী যদি বিপথগামিনী হয়ে তার বিরুদ্ধে সত্য লঙ্ঘন করে,
13. সে যদি স্বামীর দৃষ্টির অগোচরে কোন পুরুষের সঙ্গে জেনা করে গোপনে নাপাক হয় ও তার বিপক্ষে কোন সাক্ষী না থাকে ও সে ধরা না পড়ে;
14. এবং স্ত্রী নাপাক হলে স্বামী যদি অন্তর্জ্বালাজনক রূহের আবেশে তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়; অথবা স্ত্রী নাপাক না হলেও যদি সে বিদ্বেষ রূহের আবেশে তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়;
15. তবে সেই স্বামী তার স্ত্রীকে ইমামের কাছে আনবে এবং তার জন্য তার উপহার, অর্থাৎ এক ঐফার দশ ভাগের এক ভাগ যবের সুজি আনবে, কিন্তু তার উপরে তেল ঢালবে না ও কুন্দুরু দেবে না; কেননা তা অন্তর্জ্বালার শস্য-উৎসর্গ, স্মরণ করার শস্য-উৎসর্গ, যা দ্বারা অপরাধ স্মরণ হয়।
16. পরে ইমাম সেই স্ত্রীকে নিয়ে মাবুদের সম্মুখে উপস্থিত করবে।
17. আর ইমাম মাটির পাত্রে পবিত্র পানি রেখে শরীয়ত-তাঁবুর মেঝের কিঞ্চিৎ ধূলি নিয়ে সেই পানিতে দেবে।