21. কিংবা শত্রুতা করে যদি কেউ কাউকেও নিজের হাতে আঘাত করে ও তাতে সে মারা যায়; তবে যে তাকে আঘাত করেছে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; সে নরহন্তা; রক্তের প্রতিশোধদাতা তার দেখা পেলেই সেই নরহন্তাকে হত্যা করবে।
22. কিন্তু যদি শত্রুতা ছাড়া হঠাৎ কেউ কাউকেও আঘাত করে, কিংবা লক্ষ্য না করে তার শরীরে অস্ত্র নিক্ষেপ করে,
23. কিংবা যা দ্বারা মরতে পারে, এমন পাথর যদি কারো উপরে যদি না দেখে ফেলে, আর তাতেই যদি তার মৃত্যু হয়, অথচ সে তার দুশমন বা অনিষ্টচেষ্টাকারী ছিল না;
24. তবে মণ্ডলী সেই নরহন্তার এবং রক্তের প্রতিশোধ নেবার অধিকারী সম্বন্ধে এসব অনুশাসন অনুযায়ী বিচার করবে।
25. আর মণ্ডলী রক্তের প্রতিশোধ-দাতার হাত থেকে সেই নর-হন্তাকে উদ্ধার করবে এবং সে যেখানে পালিয়েছিল, তার সেই আশ্রয়-নগরে মণ্ডলী তাকে পুনর্বার পৌঁছে দেবে। আর যে পর্যন্ত পবিত্র তেলে অভিষিক্ত মহা-ইমামের মৃত্যু না হয়, ততদিন সে সেই নগরে থাকবে।
26. কিন্তু সেই নরহন্তা যে আশ্রয়-নগরে পালিয়েছে, কোন সময়ে যদি সে তার সীমার বাইরে যায়,
27. এবং রক্তের প্রতিশোধদাতা আশ্রয়-নগরের সীমার বাইরে তাকে পায়, তবে সেই রক্তের প্রতিশোধদাতা তাকে হত্যা করলেও রক্তপাতের অপরাধী হবে না।
28. কেননা মহা-ইমামের মৃত্যু পর্যন্ত নিজের আশ্রয়-নগরে থাকা তার উচিত ছিল; কিন্তু মহা-ইমামের মৃত্যু হলে সেই নরহন্তা তার বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।
29. তোমাদের পুরুষানুক্রমে তোমাদের সমস্ত নিবাসে এ সব তোমাদের পক্ষে বিচার বিধি হবে।
30. যে ব্যক্তি কোন লোককে হত্যা করে, সেই নরহন্তা সাক্ষীদের কথায় হত হবে; কিন্তু কোন লোকের বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রাণদণ্ডের জন্য গ্রাহ্য হবে না।
31. আর প্রাণদণ্ডের অপরাধী নরহন্তার প্রাণের জন্য তোমরা কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করবে না; তার প্রাণদণ্ড অবশ্যই হবে।
32. আর যে কেউ তার আশ্রয়-নগরে পালিয়েছে, সে যেন ইমামের মৃত্যুর আগে পুনর্বার দেশে এসে বাস করতে পারে, এজন্য তার কাছ থেকে কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করবে না।