15. মূসা তাদেরকে বললেন, তোমরা কি সমস্ত স্ত্রীলোককে জীবিত রেখেছ?
16. দেখ, বালামের পরামর্শে তারাই পিয়োর দেবতার ঘটনায় বনি-ইসরাইলকে মাবুদের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়েছিল, সেজন্যই মাবুদের মণ্ডলীতে মহামারী হয়েছিল।
17. অতএব তোমরা এখন বালক-বালিকাদের মধ্যে সমস্ত বালককে হত্যা কর এবং শয়নে পুরুষের পরিচয় পেয়েছে এমন সমস্ত স্ত্রীলোককেও হত্যা কর;
18. কিন্তু যে বালিকারা শয়নে পুরুষের পরিচয় পায় নি, তাদেরকে তোমাদের জন্য জীবিত রাখ।
19. আর তোমরা সাত দিন শিবিরের বাইরে ছাউনি করে থাক; তোমরা যত লোক মানুষ হত্যা করেছ ও নিহত লোককে স্পর্শ করেছ, সকলে তৃতীয় দিন ও সপ্তম দিনে নিজেদেরকে ও নিজ নিজ বন্দীদেরকে পাক-সাফ কর;
20. আর যাবতীয় কাপড়, চামড়া দিয়ে তৈরি যাবতীয় বস্তু, ছাগলের লোম দিয়ে তৈরি সমস্ত বস্তু ও কাঠ দিয়ে তৈরি যাবতীয় বস্তুর বিষয় নিজেদের পাক-সাফ কর।
21. যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, ইমাম ইলিয়াসর সেই যোদ্ধাদেরকে বললেন, মাবুদ কর্তৃক মূসাকে দেওয়া শরীয়তের এই নিয়ম;
22. কেবল সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা, রাঙ্গ ও সীসা প্রভৃতি
23. যেসব দ্রব্য আগুনে নষ্ট হয় না, সেসব আগুনের মধ্য দিয়ে চালাবে, তাতে তা পাক-সাফ হবে; তবুও তা পাক-পবিত্রকরণ পানি দিয়ে পাক-সাফ করতে হবে; কিন্তু যে যে দ্রব্য আগুনে নষ্ট হয়, তা তোমরা পানির মধ্য দিয়ে চালাবে।
24. আর সপ্তম দিনে তোমরা নিজ নিজ কাপড় ধুয়ে ফেলবে; তাতে পাক-সাফ হবে; পরে শিবিরে প্রবেশ করবে।
25. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
26. তুমি ও ইলিয়াসর ইমাম এবং মণ্ডলীর পিতৃকুল-পতিগণ যুদ্ধে ধৃত প্রাণীদের, অর্থাৎ বন্দী মানুষ ও পশুদের সংখ্যা গণনা কর।
27. আর যুদ্ধে ধৃত সেই প্রাণীদেরকে দুই অংশ করে, যে যোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের ও সমস্ত মণ্ডলীর মধ্যে ভাগ কর।