24. পরে মাবুদের ফেরেশতা দু’টি আঙ্গুর-ক্ষেতের গলিপথে দাঁড়ালেন, এই পাশে প্রাচীর এবং অন্য পাশে প্রাচীর ছিল।
25. তখন গাধীটি মাবুদের ফেরেশতাকে দেখে প্রাচীরে গা ঘেঁষে গেল, আর প্রাচীরে বালামের পায়ে ঘর্ষণ লাগল; তাতে সে আবার তাকে প্রহার করলো।
26. পরে মাবুদের ফেরেশতা আরও কিঞ্চিৎ অগ্রসর হয়ে, ডানে বা বামে ফিরবার পথ নেই, এমন একটি সঙ্কীর্ণ স্থানে দাঁড়ালেন।
27. তখন গাধীটি মাবুদের ফেরেশতাকে দেখে নিচে ভূমিতে বসে পড়লো; তাতে বালামের ক্রোধ প্রজ্বলিত হলে সে গাধীটিকে লাঠি দিয়ে প্রহার করলো।
28. তখন মাবুদ গাধীটির মুখ খুলে দিলেন এবং সে বালামকে বললো, আমি তোমার কি করলাম যে, তুমি তিনবার আমাকে প্রহার করলে?
29. বালাম গাধীটিকে বললো, তুমি আমাকে বিদ্রূপ করেছ; আমার হাতে যদি তলোয়ার থাকতো, তবে আমি এখনই তোমাকে হত্যা করতাম।
30. পরে গাধী বালামকে বললো, তুমি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত যার উপরে চড়ে থাক, আমি কি তোমার সেই গাধী নই? আমি কি তোমার প্রতি এমন ব্যবহার করে থাকি? সে বললো, না।
31. তখন মাবুদ বালামের চোখ খুলে দিলেন, তাতে সে দেখলো, মাবুদের ফেরেশতা উন্মুক্ত তলোয়ার হাতে নিয়ে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন; তখন সে মাথা নত করে উবুড় হয়ে পড়লো।
32. তখন মাবুদের ফেরেশতা তাকে বললেন, তুমি তিনবার তোমার গাধীটিকে কেন প্রহার করলে? দেখ, আমি তোমার বিপক্ষ হিসেবে বের হয়েছি, কেননা আমার সাক্ষাতে তুমি বিপথে যাচ্ছ;
33. আর গাধীটি আমাকে দেখে এই তিনবার আমার সম্মুখ থেকে ফিরলো; সে যদি আমার সম্মুখ থেকে না ফিরতো, তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে হত্যা করতাম, আর ওকে জীবিত রাখতাম।
34. তাতে বালাম মাবুদের ফেরেশতাকে বললো, আমি গুনাহ্ করেছি; কেননা আপনি যে আমার বিপরীতে পথে দাঁড়িয়ে আছেন, তা আমি বুঝতে পারি নি, কিন্তু এখন যদি এতে আপনার অসন্তোষ হয়, তবে আমি ফিরে যাই।