11. আর মাবুদ মূসাকে বললেন, এই লোকেরা কত কাল আমাকে অবজ্ঞা করবে? আমি এদের মধ্যে যেসব চিহ্ন-প্রমাণ রেখেছি, তা দেখেও এরা কত কাল আমার প্রতি অবিশ্বাসী থাকবে?
12. আমি মহামারী দ্বারা এদেরকে আঘাত করবো, এদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করবো এবং তোমার মধ্য থেকে এদের চেয়ে বড় ও বলবান একটি জাতি সৃষ্টি করবো।
13. তাতে মূসা মাবুদকে বললেন, তা করলে মিসরীয়েরা তা শুনবে, কেননা তাদেরই মধ্য থেকে তুমি তোমার শক্তি দ্বারা এই লোকদের বের করে এনেছ;
14. আর তারা এই দেশ-নিবাসী লোকদেরও সেই সংবাদ দেবে। তারা শুনেছে যে, তুমি মাবুদ এই লোকদের মধ্যবর্তী, কারণ তুমি মাবুদ এদেরকে প্রত্যক্ষ দর্শন দিয়ে থাক, আর তোমার মেঘ এদের উপরে অবস্থান করছে এবং তুমি দিবাতে মেঘস্তম্ভে ও রাতে অগ্নি-স্তম্ভে থেকে এদের আগে আগে গমন করছো।
15. এখন যদি তুমি এই লোকদেরকে এক ব্যক্তির মত করে হত্যা কর, তবে ঐ যে জাতিরা তোমার খ্যাতি শুনেছে,
16. তারা বলবে, মাবুদ এই লোকদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দেশে তাদেরকে প্রবেশ করাতে অপারগ হলেন; এজন্য মরুভূমিতে তাদেরকে সংহার করলেন।
17. এখন নিবেদন করি, তোমার কালাম অনুসারে মাবুদের প্রভাব মহিমান্বিত হোক;
18. তুমি তো বলেছ, মাবুদ ক্রোধে ধীর ও অটল মহব্বতে মহান এবং অধর্ম ও অপরাধ মাফ করেন, তবুও দোষীকে তিনি শাস্তি দিয়ে থাকেন, তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত সন্তানদের উপরে পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল বর্তান।
19. আরজ করি, তোমার অটল মহব্বতের মহত্ত্ব অনুসারে এবং মিসর দেশ থেকে এই পর্যন্ত এই লোকদেরকে যেমন মাফ করে আসছো, সেই অনুসারে এই লোকদের অপরাধ মাফ কর।
20. তখন মাবুদ বললেন, তোমার কথা অনুসারে আমি মাফ করলাম।
21. সত্যিই আমি জীবন্ত এবং সমস্ত দুনিয়া মাবুদের প্রতাপে পরিপূর্ণ হবে;