10. মূসা লোকদের কান্না শুনলেন, তারা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রত্যেকে নিজ নিজ তাঁবুর দরজার কাছে কাঁদছিল; আর এতে মাবুদের ক্রোধ অতিশয় প্রজ্বলিত হল এবং মূসাও অসন্তুষ্ট হলেন।
11. তখন মূসা মাবুদকে বললেন, তুমি কি জন্য তোমার গোলামকে এত কষ্ট দিচ্ছ? কি জন্যই বা আমি তোমার অনুগ্রহ লাভ করি নি, যার ফলে তুমি এসব লোকের ভার আমার উপরে দিয়েছ?
12. আমি কি এই সমস্ত লোক গর্ভে ধারণ করেছি? আমি কি এদেরকে প্রসব করেছি? সেজন্য তুমি এদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয়ে কসম খেয়েছিলে, সেই দেশ পর্যন্ত আমাকে কি দুগ্ধপোষ্য শিশু বহনকারী পালকের মত এদেরকে বুকে করে বহন করতে বলছো?
13. এই সমস্ত লোককে দেবার জন্য আমি কোথায় গোশ্ত পাব? এরা তো আমার কাছে কান্নাকাটি করে বলছে, আমাদেরকে গোশ্ত দাও, আমরা খাব।
14. একাকী এত লোকের ভার সহ্য করা আমার অসাধ্য; কেননা তা আমার শক্তির অতিরিক্ত।
15. তুমি যদি আমার প্রতি এরকম ব্যবহার কর, তবে আরজ করি, আমি তোমার দৃষ্টিতে যদি অনুগ্রহ লাভ করে থাকি, আমাকে একবারে মেরে ফেলো; আমি যেন আমার দুর্গতি না দেখি।
16. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি যাদেরকে লোকদের প্রাচীন ও নেতা বলে জান, ইসরাইলের এমন সত্তরজন প্রাচীন লোককে সংগ্রহ কর। তাদেরকে জমায়েত-তাঁবুর কাছে আন; তারা তোমার সঙ্গে সেই স্থানে দাঁড়াবে।
17. পরে আমি সেই স্থানে নেমে তোমার সঙ্গে কথা বলবো এবং তোমার উপরে যে রূহ্ অবস্থিতি করেন, তাঁর কিছু পরিমাণ নিয়ে তাদের উপরে অবস্থিতি করাব, তাতে তুমি যেন একাকী লোকদের ভার বহন না কর, এজন্য তারা তোমার সঙ্গে লোকদের ভার বহন করবে।
18. আর তুমি লোকদেরকে বল, তোমরা আগামী-কালের জন্য নিজদেরকে পাক-পবিত্র কর, গোশ্ত ভোজন করতে পাবে; কেননা তোমরা মাবুদের কাছে কান্নাকাটি করেছ, বলেছ, ‘আমাদেরকে কে গোশ্ত ভোজন করতে দেবে? বরং মিসর দেশে আমরা ভাল ছিলাম;’ অতএব মাবুদ তোমাদেরকে গোশ্ত দেবেন, তোমরা খাবে।
19. এক দিন বা দুই দিন বা পাঁচ দিন বা দশ দিন বা বিশ দিন তা খাবে, এমন নয়;
20. সমপূর্ণ এক মাস পর্যন্ত, যতক্ষণ তা তোমরা বমন করে না ফেল ও তাতে তোমাদের অরুচি না হয়, ততক্ষণ খাবে; কেননা তোমরা তোমাদের মধ্যবর্তী মাবুদকে অগ্রাহ্য করেছ এবং তাঁর সম্মুখে কান্নাকাটি করে এই কথা বলেছ, ‘আমরা কেন মিসর থেকে বের হয়ে এসেছি?’