11. পরে সে নিজের পোশাক ত্যাগ করে অন্য পোশাক পরে শিবিরের বাইরে কোন পাক-পবিত্র স্থানে ভস্ম নিয়ে যাবে।
12. আর কোরবানগাহ্র উপরিস্থ আগুন জ্বলতে থাকবে, নিভিয়ে ফেলা হবে না; ইমাম প্রতিদিন খুব ভোরে তার উপরে কাঠ জ্বালাবে এবং তার উপরে পোড়ানো-কোরবানী সাজিয়ে দেবে ও মঙ্গল-কোরবানীর চর্বি তাতে পুড়িয়ে ফেলবে।
13. কোরবানগাহ্র উপরে আগুন সব সময় জ্বালিয়ে রাখতে হবে; তা নিভিয়ে ফেলা যাবে না।
14. আর শস্য-উৎসর্গের এই ব্যবস্থা; হারুনের পুত্ররা কোরবানগাহ্র কাছে মাবুদের সম্মুখে তা আনবে।
15. পরে ইমাম তা থেকে এক মুষ্টি পূর্ণ করে, কোরবানীর কিঞ্চিৎ সুজি ও কিঞ্চিৎ তেল এবং কোরবানীর উপরিস্থ সমস্ত কুন্দুরু নিয়ে তার স্মরণ করার অংশ হিসেবে মাবুদের উদ্দেশে খোশবুর জন্য কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে।
16. আর হারুন ও তার পুত্ররা তার অবশিষ্ট অংশ ভোজন করবে; বিনা খামিতে কোন পবিত্র স্থানে তা ভোজন করতে হবে; তারা জমায়েত-তাঁবুর প্রাঙ্গণে তা ভোজন করবে।
17. খামির সঙ্গে তা পাক-করা হবে না। আমি আমার অগ্নিকৃত উপহার থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ বলে তা দিলাম; গুনাহ্-কোরবানীর ও দোষ-কোরবানীর মত তা অতি পবিত্র।
18. হারুনের সন্তানদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা ভোজন করবে। মাবুদের অগ্নিকৃত উপহার থেকে তা পুরুষানুক্রমে চিরকাল তোমাদের অধিকার; যে কেউ তা স্পর্শ করবে, তার পবিত্র হওয়া চাই।
19. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
20. অভিষেকের দিনে হারুন ও তার পুত্ররা মাবুদের উদ্দেশে এই উপহার কোরবানী করবে, নিয়মিত শস্য-উৎসর্গের জন্য ঐফার দশ ভাগের এক ভাগ মিহি সুজি, সকাল-বেলা অর্ধেক ও সন্ধ্যাবেলা অর্ধেক।
21. তারা ভাজবার পাত্রে তেল দিয়ে তা ভাজবে। সেগুলো তৈলসিক্ত হলে তুমি তা এনে টুকরা টুকরা করে শস্য-উৎসর্গ হিসেবে মাবুদের উদ্দেশে খোশবুর জন্য উৎসর্গ করবে।
22. পরে হারুনের পুত্রদের মধ্যে যে তার পদে অভিষিক্ত ইমাম হবে, সে তা কোরবানী করবে। চিরস্থায়ী নিয়ম অনুসারে তা মাবুদের উদ্দেশে সমপূর্ণভাবে পুড়িয়ে দিতে হবে।
23. আর ইমামের প্রত্যেক শস্য-উৎসর্গ সমপূর্ণভাবে পুড়িয়ে দিতে হবে; তার কিছু খাওয়া চলবে না।
24. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
25. তুমি হারুন ও তার পুত্রদেরকে বল, গুনাহ্-কোরবানীর এই ব্যবস্থা; যে স্থানে পোড়ানো-কোরবানী করা হয়, সেই স্থানে মাবুদের সম্মুখে গুনাহ্-কোরবানীও করা হবে; তা অতি পবিত্র।
26. যে ইমাম গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে তা কোরবানী করে সে তা ভোজন করবে; জমায়েত-তাঁবুর প্রাঙ্গণে কোন পবিত্র স্থানে তা খেতে হবে।
27. যে কেউ তার গোশ্ত স্পর্শ করে, তার পাক-সাফ হওয়া চাই এবং তার রক্তের ছিটা যদি কোন কাপড়ে লাগে তবে তুমি সেই পোশাক পবিত্র স্থানে ধুয়ে নেবে।
28. আর যে মাটির পাত্রে তা পাক-করা হয় তা ভেঙে ফেলতে হবে; যদি ব্রোঞ্জের পাত্রে তা পাক-করা হয় তবে তা পানিতে মেজে পরিষ্কার করতে হবে।
29. ইমামদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা ভোজন করতে পারবে; তা অতি পবিত্র।
30. কিন্তু পবিত্র স্থানে কাফ্ফারা করতে যে কোন গুনাহ্-কোরবানীর রক্ত জমায়েত-তাঁবুর ভিতরে আনতে হবে, তা ভোজন করা চলবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।