10. আর এক পুত্র বের হয়ে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে গেল, যার মা ছিলেন ইসরাইলীয় এবং বাবা মিসরীয়, তাদের সেই পুত্রটি শিবিরের মধ্যে কোন এক ইসরাইলীয় পুরুষের সঙ্গে ঝগড়া করলো।
11. তখন সেই ইসরাইলীয় স্ত্রীর পুত্র মাবুদের নাম নিয়ে কুফরী করলো, তাতে লোকেরা তাকে মূসার কাছে নিয়ে গেল। তার মায়ের নাম শালোমীৎ, সে দান-বংশীয় দিব্রির কন্যা।
12. লোকেরা মাবুদের মুখে স্পষ্ট হুকুম পাবার অপেক্ষায় তাকে আটক করে রাখল।
13. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
14. যে লোকটি কুফরী করেছে তুমি তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও; পরে যারা তার কথা শুনেছে, তারা সকলে তার মাথায় হস্তার্পণ করুক এবং সমস্ত মণ্ডলী পাথরের আঘাতে তাকে হত্যা করুক।
15. আর তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, যে কেউ তার আল্লাহ্র কুফরী করে, সে তার গুনাহ্ বহন করবে।
16. আর যে মাবুদের নামের কুফরী করে, তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে; সমস্ত মণ্ডলী তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে। বিদেশী লোক হোক বা স্বদেশী লোক হোক, যে সেই নামের কুফরী করবে তার প্রাণদণ্ড হবে।
17. আর যে কেউ কোন মানুষকে হত্যা করে তার অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে;
18. আর যে কেউ পশু খুন করে, সে তার শোধ দেবে; প্রাণের বদলে প্রাণ।
19. যদি কেউ স্বজাতির কারো দেহে আঘাত করে তবে সে যেমন করেছে, তার প্রতি তেমনি করা যাবে।
20. হাড় ভাঙ্গার বদলে হাড় ভাঙ্গা, চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত; মানুষের যে যেমন ক্ষত করে, তার প্রতি তেমনি করা যাবে।
21. যে জন পশু খুন করে, সে তার শোধ দেবে; কিন্তু যে জন মানুষ হত্যা করে, তার প্রাণদণ্ড হবে।
22. তোমাদের স্বদেশী ও বিদেশী উভয়েরই জন্য এক রকম শাসন হবে; কেননা আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্।
23. পরে মূসা বনি-ইসরাইলকে এই কথা বললেন, তাতে তারা যে লোকটি কুফরী করেছিল তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাথরের আঘাতে হত্যা করলো; মূসাকে মাবুদ যেমন হুকুম দিয়েছিলেন, বনি-ইসরাইল তা-ই করলো।