10. অন্য বংশীয় কোন লোক পবিত্র বস্তু ভোজন করবে না; ইমামের বাড়িতে বাসকারী অন্য কেউ কিংবা বেতনজীবী কেউ পবিত্র বস্তু ভোজন করবে না।
11. কিন্তু ইমাম নিজের টাকা দিয়ে যে কোন ব্যক্তিকে ক্রয় করে, সে তা ভোজন করবে এবং তার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছে এমন লোকেরাও তার অন্ন ভোজন করবে।
12. আর ইমামের কন্যা যদি অন্য বংশীয় লোকের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় তবে সে পবিত্র বস্তুর উত্তোলনীয় উপহার ভোজন করবে না।
13. কিন্তু ইমামের কন্যা যদি বিধবা কিংবা পরিত্যক্তা হয়, আর তার সন্তান না থাকে এবং সে পুনর্বার এসে বাল্যকালের মত পিতার বাড়িতে বাস করে তবে সে পিতার অন্ন ভোজন করবে, কিন্তু অন্য বংশীয় কোন লোক তা ভোজন করবে না।
14. আর যদি কেউ ভুলবশত পবিত্র বস্তু ভোজন করে তবে সে সেরকম পবিত্র বস্তু ও তার সঙ্গে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ ইমামকে দেবে।
15. আর বনি-ইসরাইল তাদের যে যে পবিত্র বস্তু মাবুদের উদ্দেশে নিবেদন করে, ইমামেরা তা নাপাক করবে না;
16. এবং তাদেরকে ওদের পবিত্র বস্তু ভোজন দ্বারা দোষ-কোরবানীর দায়ে ভারগ্রস্ত করবে না; কেননা আমি মাবুদ তাদের পবিত্রকারী।
17. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
18. তুমি হারুন, তার পুত্রদের ও সমস্ত বনি-ইসরাইলদেরকে বল, ইসরাইল জাতি কিংবা ইসরাইলের মধ্যে প্রবাসকারী যে কেউ তার উপহার কোরবানী করে, তাদের কোন মানতের কোরবানী হোক, বা নিজের ইচ্ছায় দেওয়া কোরবানী হোক, যা মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করে;
19. যেন তোমরা গ্রাহ্য হতে পার, তাই গরুর কিংবা ভেড়ার কিংবা ছাগলের মধ্য থেকে নিখুঁত পুরুষ পশু কোরবানী করবে।
20. তোমরা খুঁতযুক্ত কিছু কোরবানী করো না, কেননা তা তোমাদের পক্ষে কবুল করা হবে না।
21. আর কোন লোক যদি মানত পূর্ণ করার জন্য কিংবা নিজের ইচ্ছায় দেওয়া কোরবানীর জন্য গোমেষাদি পাল থেকে মঙ্গল-কোরবানী করে তবে গ্রাহ্য হবার জন্য তা নিখুঁত হবে; তাতে কোন খুঁত থাকবে না।
22. অন্ধ, বা আঘাত পাওয়া, বা ক্ষতবিক্ষত, বা আবযুক্ত, বা শ্বেতিযুক্ত, বা স্ফোটকযুক্ত হলে তোমরা মাবুদের উদ্দেশে তা কোরবানী করো না এবং তার কিছুই মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার হিসেবে কোরবানগাহ্র উপরে স্থাপন করো না।
23. আর তুমি যে সব গরু কিংবা ভেড়ার শরীরের কোন অংশ অস্বাভাবিক ভাবে বড় কিংবা ছোট হলে তা স্বেচ্ছাদত্ত উপহার হিসেবে কোরবানী করতে পার, কিন্তু মানতের জন্য তা কবুল করা হবে না।
24. যদি কোন পশুর অণ্ডকোষ থেঁৎলে কিংবা পিষে কিংবা ছিঁড়ে কিংবা কেটে গিয়ে থাকে তবে সেগুলোকে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করো না; তোমাদের দেশে এরকম করো না।
25. আর বিদেশীর হাত থেকেও এই রকম পশু নিয়ে আল্লাহ্র উদ্দেশে ভক্ষ্যরূপে কোরবানী করো না, কেননা তাদের শরীরে খুঁত আছে, সুতরাং তাদের মধ্যে খুঁত আছে বলে সেসব তোমাদের পক্ষে কবুল করা হবে না।
26. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
27. গরু, বা ভেড়া, বা ছাগল জন্মগ্রহণ করলে পর সাত দিন পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকবে; পরে অষ্টম দিন থেকে তা মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহারের জন্য কবুল করা হবে।
28. গাভী কিংবা ভেড়ী হোক, তাকে ও তার বাচ্চাকে একই দিনে জবেহ্ করো না।
29. আর যে সময়ে তোমরা মাবুদের উদ্দেশে শুকরিয়া-কোরবানী করবে, সেই সময় গ্রাহ্য হবার জন্যই তা কোরবানী করো।