18. তুমি তোমার জাতির সন্তানদের উপরে প্রতিশোধ নিও না কিংবা হিংসা করো না, বরং তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে; আমি মাবুদ।
19. তোমরা আমার সমস্ত বিধি পালন করো। তুমি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পশুর সঙ্গে তোমার পশুদেরকে সংসর্গ করতে দিও না; তোমার এক ক্ষেতে দু’রকম বীজ বপন করো না এবং দুই জাতের মিশানো সুতা দিয়ে বোনা কাপড় পরো না।
20. আর মূল্য দ্বারা কিংবা অন্যভাবে মুক্ত হয় নি, এমন যে বাগদত্তা বাঁদী, তার সঙ্গে যদি কেউ সহবাস করে তবে সে দণ্ডনীয় হবে; তার প্রাণদণ্ড হবে না, কেননা সে মুক্তা নয়।
21. আর সেই পুরুষ জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে মাবুদের উদ্দেশে নিজের দোষ-কোরবানী অর্থাৎ দোষ-কোরবানীর জন্য ভেড়া আনবে;
22. আর ইমাম মাবুদের সম্মুখে সেই দোষ-কোরবানীর ভেড়া দ্বারা তার কৃত গুনাহ্র কাফ্ফারা দেবে; তাতে তার কৃত গুনাহ্ মাফ করা হবে।
23. আর তোমরা দেশে প্রবেশ করলে যখন ফল ভোজন করার জন্য সকল রকম গাছ রোপণ করবে, তখন তার ফল নিষিদ্ধ বলে গণ্য করবে; তিন বছর কাল তা তোমাদের জ্ঞানে নিষিদ্ধ থাকবে, তা ভোজন করো না।
24. পরে চতুর্থ বছরে তার সমস্ত ফল মাবুদের প্রশংসার জন্য উপহার হিসেবে পবিত্র হবে।
25. আর পঞ্চম বছরে তোমরা তার ফল ভোজন করবে; তাতে তোমাদের জন্য প্রচুর ফল উৎপন্ন হবে; আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্।
26. তোমরা রক্ত সহকারে কোন বস্তু ভোজন করো না; যাদুকর কিংবা গণকের বিদ্যা ব্যবহার করো না।
27. তোমরা মাথার চারপাশের চুল মণ্ডলাকার করো না ও নিজ নিজ দাড়ির কোণ কামাবে না।
28. মৃত লোকের জন্য নিজ নিজ দেহে অস্ত্রাঘাত করো না ও শরীরে উল্কি অঙ্কন করো না; আমি মাবুদ।
29. তুমি তোমার কন্যাকে পতিতা হতে দিয়ে নাপাক করো না, পাছে দেশ জেনাকারী হয়ে পড়ে ও দেশ কুকার্যে পূর্ণ হয়।
30. তোমরা আমার সমস্ত বিশ্রামবার পালন করো এবং আমার পবিত্র স্থানের সমাদর করো; আমি মাবুদ।
31. তোমরা ওঝা ও গুনিনদের অভিমুখী হয়ো না, তাদের কাছে কোন কিছুর খোঁজ করো না, করলে তোমাদের নিজেদেরকে নাপাক করে ফেলবে; আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্।
32. তুমি পক্ককেশ বয়ঃজৈষ্ঠ্যের সম্মুখে উঠে দাঁড়াবে, বৃদ্ধ লোককে সম্মান করবে ও তোমার আল্লাহ্র প্রতি ভয় রাখবে; আমি মাবুদ।