4. তবে যাকে পাক-সাফ করা হবে সেই ব্যক্তির জন্য ইমাম দু’টি জীবিত হালাল পাখি, এরস কাঠ, লাল রংয়ের লোম ও এসোব,
5. এসব নিতে হুকুম করবে। আর ইমাম মাটির পাত্রে স্রোতের পানির উপরে একটি পাখি জবেহ্ করতে হুকুম করবে।
6. পরে সে ঐ জীবিত পাখি, এরস কাঠ, লাল রংয়ের লোম ও এসোব নিয়ে ঐ স্রোতের পানির উপরে হত পাখির রক্তে জীবিত পাখির সঙ্গে সেসব ডুবাবে,
7. এবং কুষ্ঠ থেকে যাকে পাক-সাফ করা হবে সেই ব্যক্তির উপরে সাতবার ছিটিয়ে তাকে পাক-সাফ বলে ঘোষণা করবে এবং ঐ জীবিত পাখিকে মাঠের দিকে ছেড়ে দেবে।
8. তখন যাকে পাক-সাফ করা হবে সেই ব্যক্তি নিজের কাপড় ধুয়ে ফেলবে ও সমস্ত চুল কামিয়ে নিয়ে পানিতে গোসল করবে, তাতে সে পাক-সাফ হবে; তারপর সে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু সাত দিন তার তাঁবুর বাইরে থাকবে।
9. পরে সপ্তম দিনে সে তার মাথার চুল, দাড়ি, ভ্রূ ও সর্বাঙ্গের লোম কামাবে এবং তার কাপড় ধুয়ে ফেলে সে পানিতে গোসল করে পাক-সাফ হবে।
10. পরে অষ্টম দিনে সে নিখুঁত দু’টি ভেড়ার বাচ্চা, এক বছর বয়সের নিখুঁত একটি ভেড়ীর বাচ্চা ও শস্য-উৎসর্গের জন্য তেল মিশানো (এক ঐফা) সুজির দশ অংশের তিন অংশ ও এক লোগ তেল নেবে।
11. পরে পাক-সাফকারী ইমাম যাকে পাক-সাফ করা হবে ঐ লোকটিকে এবং ঐ সমস্ত বস্তু নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে মাবুদের সম্মুখে স্থাপন করবে।
12. পরে ইমাম একটি ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে দোষ-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করবে এবং সেটিকে ও সেই এক লোগ তেল দোলনীয় উপহার হিসেবে মাবুদের সম্মুখে দোলাবে।
13. যে স্থানে গুনাহ্-কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানীর পশু জবেহ্ করা হয়, সেই পবিত্র স্থানে ঐ ভেড়ার বাচ্চাটি জবেহ্ করবে, কেননা দোষ-কোরবানী গুনাহ্-কোরবানীর মতই ইমামের অংশ; তা অতি পবিত্র।
14. পরে ইমাম ঐ দোষ-কোরবানীর কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে যাকে পাক-সাফ করা হবে ঐ ব্যক্তির ডান কানের লতিতে, ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে ও ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে দেবে।
15. আর ইমাম এই এক লোগ তেলের কিছু পরিমাণ নিয়ে নিজের বাম হাতের তালুতে ঢালবে।
16. পরে ইমাম সেই বাম হাতে থাকা তেলে তার ডান হাতের আঙ্গুল ডুবিয়ে আঙ্গুল দ্বারা সেই তেল থেকে কিঞ্চিৎ তেল সাতবার মাবুদের সম্মুখে ছিটিয়ে দেবে।
17. আর তার হাতের অবশিষ্ট তেলের কিছু পরিমাণ নিয়ে ইমাম যাকে পাক-সাফ করা হবে সেই ব্যক্তির ডান কানের লতিতে, ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে ও ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে ঐ দোষ-কোরবানীর রক্তের উপরে দেবে।