43. ইমাম তাকে দেখবে; আর দেখ, যদি শরীরের চামড়াস্থিত কুষ্ঠের মত নেড়া মাথায় কিংবা নেড়া কপালে কিছুটা রক্ত মিশানো সাদা রংয়ের ঘা হয়ে থাকে তবে সে কুষ্ঠী, সে নাপাক;
44. ইমাম তাকে অবশ্য নাপাক বলবে; তার ঘা তার মাথার উপর।
45. আর যে কুষ্ঠীর ঘা হয়েছে, তার কাপড় ছেঁড়া যাবে ও তার মাথার চুল এলোমেলো থাকবে ও সে তার মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে ‘নাপাক, নাপাক’ এই আওয়াজ করবে।
46. যত দিন তার শরীরে ঘা থাকবে, তত দিন সে নাপাক থাকবে; সে নাপাক; সে একাকী বাস করবে, শিবিরের বাইরে তার বাসস্থান হবে।
47. আর লোমের কাপড়ে কিংবা মসীনার কাপড়ে যদি কুষ্ঠ রোগের ছত্রাক দেখা দেয়,
48. লোমের কিংবা মসীনার তানাতে বা পড়িয়ানেতে যদি হয়, কিংবা চামড়ায় বা চামড়া দিয়ে তৈরি কোন দ্রব্যে যদি হয়,
49. এবং কাপড়ে কিংবা চামড়ায় কিংবা তানাতে বা পড়িয়ানেতে কিংবা চামড়া দিয়ে তৈরি কোন দ্রব্যে যদি কিছুটা সবুজ রংয়ের কিংবা কিছুটা লাল রংয়ের ছত্রাক হয় তবে তা কুষ্ঠরোগের ছত্রাক; তা ইমামকে দেখাতে হবে;
50. পরে ইমাম ঐ ছত্রাক দেখে ছত্রাক-যুক্ত বস্তু সাত দিন রুদ্ধ করে রাখবে।
51. পরে সপ্তম দিনে ইমাম ঐ ছত্রাক দেখবে, যদি কাপড়ে কিংবা তানাতে কিংবা পড়িয়ানেতে কিংবা চামড়ায় কিংবা চামড়া দিয়ে তৈরি দ্রব্যে সেই ছত্রাক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তবে তা সংহারক কুষ্ঠ; তা নাপাক।
52. অতএব কাপড় কিংবা লোম দ্বারা তৈরি বা মসীনা দ্বারা তৈরি তানা বা পড়িয়ান কিংবা চামড়া দ্বারা তৈরি দ্রব্য, যা কিছুতে সেই ছত্রাক দেখা যায়, তা সে পুড়িয়ে ফেলবে; কারণ তা সংহারক কুষ্ঠ, তা আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।
53. কিন্তু ইমাম দেখবে; আর দেখ, যদি সেই ছত্রাক কাপড়ে কিংবা তানাতে বা পড়িয়ানেতে কিংবা চামড়ার কোন দ্রব্যে বৃদ্ধি না পায়,
54. তবে ইমাম সেই ছত্রাক-বিশিষ্ট দ্রব্য ধুয়ে ফেলবার হুকুম দেবে এবং আর সাত দিন তা বন্ধ করে রাখবে।
55. ধোয়া হলে পর ইমাম সেই ছত্রাক দেখবে; আর দেখ, সেই ছত্রাক যদি অন্য রংয়ের না হয়ে থাকে ও সেই ছত্রাক যদি বৃদ্ধি না পেয়ে থাকে তবে তা নাপাক, তুমি তা আগুনে পুড়িয়ে দেবে; সেটা ভিতরে কিংবা বাইরে উৎপন্ন ক্ষত।