44. আর তিনি যে সমস্ত কাজ করছিলেন, তাতে সকল লোক আশ্চর্য জ্ঞান করলে তিনি তাঁর সাহাবীদেরকে বললেন, তোমরা এসব কথা মনযোগ দিয়ে শোন,; কেননা সমপ্রতি ইবনুল-ইনসানকে মানুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে।
45. কিন্তু তাঁরা এই কথা বুঝলেন না এবং এর অর্থ তাঁদের থেকে গুপ্ত রাখা হল, যাতে তাঁরা বুঝে উঠতে না পারেন এবং তাঁর কাছে এই কথার বিষয় জিজ্ঞাসা করতে তাঁদের ভয় হল।
46. আর তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ, এই তর্ক তাঁদের মধ্যে উপস্থিত হল।
47. তখন ঈসা তাঁদের হৃদয়ের তর্ক জেনে একটি শিশুকে নিয়ে তাঁর নিজের পাশে দাঁড় করালেন,
48. এবং তাঁদেরকে বললেন, যে কেউ আমার নামে এই শিশুটিকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে। যে কেউ আমাকে গ্রহণ করে, সে তাঁকেই গ্রহণ করে, যিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন; কারণ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবচেয়ে ক্ষুদ্র, সেই মহান।
49. পরে ইউহোন্না বললেন, প্রভু, আমরা এক ব্যক্তিকে আপনার নামে বদ-রূহ্ ছাড়াতে দেখেছিলাম, আর তাকে বারণ করছিলাম, কারণ সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
50. কিন্তু ঈসা তাঁকে বললেন, বারণ করো না, কেননা যে তোমাদের বিপক্ষ নয়, সে তোমাদের সপক্ষ।
51. আর যখন তাঁর ঊর্ধ্বে নীত হবার সময় পূর্ণ হয়ে আসছিল, তখন তিনি একান্ত মনে জেরুশালেমে যেতে উন্মুখ হলেন,
52. এবং তাঁর আগে দূতদেরকে প্রেরণ করলেন আর তাঁরা গিয়ে সামেরীয়দের কোন গ্রামে প্রবেশ করলেন, যাতে তাঁর জন্য আয়োজন করতে পারেন।
53. কিন্তু লোকেরা তাঁকে গ্রহণ করলো না, কেননা তিনি জেরুশালেমে যেতে উন্মুখ ছিলেন।
54. তা দেখে তাঁর সাহাবী ইয়াকুব ও ইউহোন্না বললেন, প্রভু, আপনি কি ইচ্ছা করেন যে, ইলিয়াস যেমন করেছিলেন, তেমনি আমরা বলি, আসমান থেকে আগুন নেমে এসে এদেরকে ভস্ম করে ফেলুক?
55. কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে তাঁদেরকে ধমক দিলেন।