32. তখন পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা নিদ্রায় ভারাক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু জেগে উঠে তাঁর মহিমা এবং ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
33. পরে তাঁরা তাঁর কাছ থেকে প্রস্থান করছেন, এমন সময়ে পিতর ঈসাকে বললেন, প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভাল; আমরা তিনটি কুটির তৈরি করি; একটি আপনার জন্য, একটি মূসার জন্য, আর একটি ইলিয়াসের জন্য; কিন্তু তিনি কি বললেন, তা নিজেই বুঝতে পারলেন না।
34. তিনি এই কথা বলছেন, এমন সময়ে একখানি মেঘ এসে তাঁদেরকে ছায়া করলো; তাতে তাঁরা সেই মেঘে প্রবেশ করলে এঁরা ভয় পেলেন।
35. আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ইনিই আমার পুত্র, আমার মনোনীত, এঁর কথা শোন।
36. এই বাণী হবামাত্র সেখানে একা ঈসাকে দেখা গেল। আর তাঁরা নীরব রইলেন, যা যা দেখেছিলেন তার কিছুই সেই সময়ে কাউকেও জানালেন না।
37. পরদিন তাঁরা সেই পর্বত থেকে নেমে আসলে অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলো।
38. আর দেখ, ভিড়ের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি চিৎকার করে বললো, হুজুর, আরজ করি, আমার পুত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন, কেননা এটি আমার একমাত্র সন্তান।
39. আর দেখুন, একটা রূহ্ একে আক্রমণ করে, আর এ হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠে। সেই রূহ্টি একে মুচড়ে ধরে, তাতে সে মুখ দিয়ে ফেনা বের করে, আর রূহ্টি তাকে ক্ষত-বিক্ষত করে কষ্ট দিয়ে ছেড়ে যায়।
40. আর আমি আপনার সাহাবীদেরকে নিবেদন করেছিলাম, যেন তাঁরা এটাকে ছাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।
41. তখন জবাবে ঈসা বললেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, কত কাল আমি তোমাদের কাছে থাকব ও তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করবো? তোমার পুত্রকে এখানে আন।
42. সে আসছে, এমন সময়ে ঐ বদ-রূহ্ তাকে ফেলে দিল ও ভয়ানক ভাবে মুচড়ে ধরলো। কিন্তু ঈসা সেই নাপাক রূহ্কে ধমক্ দিলেন, বালকটিকে সুস্থ করলেন ও তার পিতার কাছে তাকে ফিরিয়ে দিলেন।
43. তখন সকলে আল্লাহ্র মহিমায় চমৎকৃত হল।