19. তাঁরা জবাবে বললেন, বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়া; কিন্তু কেউ কেউ বলে, আপনি ইলিয়াস, আর কেউ কেউ বলে, পূর্বকালীন নবীদের এক জন জীবিত হয়ে উঠেছেন।
20. তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে? পিতর জবাবে বললেন, আপনি আল্লাহ্র সেই মসীহ্।
21. তখন তিনি তাঁদেরকে দৃঢ়ভাবে বলে দিলেন ও হুকুম করলেন, এই কথা কাউকেও বলো না;
22. তিনি বললেন, ইবনুল-ইনসানকে অনেক দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনদের, প্রধান ইমামদের ও আলেমদের কর্তৃক অগ্রাহ্য হতে হবে এবং হত হতে হবে; আর তৃতীয় দিনে উঠতে হবে।
23. আর তিনি সকলকে বললেন, কেউ যদি আমার পিছনে আসতে ইচ্ছা করে, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, প্রতিদিন আপন ক্রুশ তুলে নিক এবং আমার পিছনে আসুক।
24. কেননা যে কেউ আপন প্রাণ রক্ষা করতে ইচ্ছা করে, সে তা হারাবে; কিন্তু যে কেউ আমার জন্য আপন প্রাণ হারায়, সে-ই তা রক্ষা করবে।
25. কারণ মানুষ যদি সারা দুনিয়া লাভ করে নিজেকে নষ্ট করে, কিংবা হারায়, তবে তার কি লাভ হল?
26. কেননা যে কেউ আমাকে ও আমার কালামকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, ইবনুল-ইনসান যখন নিজের প্রতাপে এবং পিতার ও পবিত্র ফেরেশতাদের প্রতাপে আসবেন, তখন তিনি তাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করবেন।
27. কিন্তু আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা, যে পর্যন্ত আল্লাহ্র রাজ্য দেখতে না পাবে, সেই পর্যন্ত কোন মতে মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না।
28. এসব কথা বলবার পরে অনুমান আট দিন গত হলে তিনি পিতর, ইউহোন্না ও ইয়াকুবকে সঙ্গে নিয়ে মুনাজাত করার জন্য পর্বতে উঠলেন।
29. আর দেখ তিনি মুনাজাত করছেন, এমন সময়ে তাঁর মুখের দৃশ্য অন্য রকম হল এবং তাঁর পোশাক শুভ্র ও উজ্জ্বল হল।
30. আর দেখ, দু’জন পুরুষ, মূসা ও ইলিয়াস, তাঁর সঙ্গে কথোপকথন করতে লাগলেন।
31. তাঁরা সপ্রতাপে দেখা দিয়ে তাঁর সেই যাত্রার বিষয় কথা বলতে লাগলেন, যা তিনি জেরুশালেমে সমাপন করতে উদ্যত ছিলেন।
32. তখন পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা নিদ্রায় ভারাক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু জেগে উঠে তাঁর মহিমা এবং ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন।