15. তাঁরা সেরকম করলেন, সকলকে বসিয়ে দিলেন।
16. পরে তিনি সেই পাঁচখানা রুটি ও দু’টি মাছ নিয়ে আসমানের দিকে দৃষ্টি করে সেগুলোর জন্য আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন ও ভাঙ্গলেন; আর লোকদের সম্মুখে রাখার জন্য সাহাবীদেরকে দিতে লাগলেন।
17. তাতে সকলে আহার করে তৃপ্ত হল এবং তারা যা অবশিষ্ট রাখল, সেসব গুঁড়াগাঁড়া কুড়ালে পর বারো ডালা হল।
18. একবার তিনি একাকী মুনাজাত করছিলেন, সাহাবীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন; আর তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কে, এই বিষয়ে লোকেরা কি বলে?
19. তাঁরা জবাবে বললেন, বাপ্তিস্মদাতা ইয়াহিয়া; কিন্তু কেউ কেউ বলে, আপনি ইলিয়াস, আর কেউ কেউ বলে, পূর্বকালীন নবীদের এক জন জীবিত হয়ে উঠেছেন।
20. তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে? পিতর জবাবে বললেন, আপনি আল্লাহ্র সেই মসীহ্।
21. তখন তিনি তাঁদেরকে দৃঢ়ভাবে বলে দিলেন ও হুকুম করলেন, এই কথা কাউকেও বলো না;
22. তিনি বললেন, ইবনুল-ইনসানকে অনেক দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনদের, প্রধান ইমামদের ও আলেমদের কর্তৃক অগ্রাহ্য হতে হবে এবং হত হতে হবে; আর তৃতীয় দিনে উঠতে হবে।
23. আর তিনি সকলকে বললেন, কেউ যদি আমার পিছনে আসতে ইচ্ছা করে, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, প্রতিদিন আপন ক্রুশ তুলে নিক এবং আমার পিছনে আসুক।
24. কেননা যে কেউ আপন প্রাণ রক্ষা করতে ইচ্ছা করে, সে তা হারাবে; কিন্তু যে কেউ আমার জন্য আপন প্রাণ হারায়, সে-ই তা রক্ষা করবে।
25. কারণ মানুষ যদি সারা দুনিয়া লাভ করে নিজেকে নষ্ট করে, কিংবা হারায়, তবে তার কি লাভ হল?
26. কেননা যে কেউ আমাকে ও আমার কালামকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, ইবনুল-ইনসান যখন নিজের প্রতাপে এবং পিতার ও পবিত্র ফেরেশতাদের প্রতাপে আসবেন, তখন তিনি তাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করবেন।