32. সেই স্থানে পর্বতের উপরে বড় একটি শূকরের পাল চরছিল। তাতে বদ-রূহ্রা তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদেরকে শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করতে অনুমতি দেন; তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন।
33. তখন বদ-রূহ্রা সেই লোকটির মধ্য থেকে বের হয়ে শূকরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করলো, তাতে সেই পাল বেগে ঢালু পাড় দিয়ে দৌড়ে গিয়ে হ্রদে পড়ে ডুবে মারা গেল।
34. এই ঘটনা দেখে, যারা সেগুলোকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গেল এবং নগরে ও পাড়ায় পাড়ায় সংবাদ দিল।
35. তখন কি ঘটেছে, দেখবার জন্য লোকেরা বের হল এবং ঈসার কাছে এসে দেখলো, যে লোকটির মধ্য থেকে বদ-রূহ্গুলো বের হয়েছে, সে কাপড় পরে ও সুবোধ হয়ে ঈসার পায়ের কাছে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
36. আর যারা সেই সব ঘটনা দেখেছিল, তারা সেই বদ-রূহে পাওয়া লোকটি কিভাবে সুস্থ হয়েছিল তা তাদেরকে বললো।
37. তাতে গেরাসেনীদের প্রদেশের চারদিকের সমস্ত লোক তাঁকে ফরিয়াদ করলো, যেন তিনি তাদের কাছ থেকে চলে যান, কেননা তারা মহাভয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তখন তিনি নৌকায় উঠে ফিরে আসলেন।
38. আর যার মধ্য থেকে বদ-রূহ্গুলো বের হয়েছিল, সেই লোকটি অনুরোধ করলো, যেন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে;
39. কিন্তু তিনি তাকে বিদায় করে বললেন, তুমি তোমার বাড়িতে ফিরে যাও এবং তোমার জন্য আল্লাহ্ যে যে মহৎ কাজ করেছেন, তার বৃত্তান্ত বল। তাতে সে চলে গিয়ে, ঈসা তার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন তা নগরের সর্বত্র তবলিগ করতে লাগল।
40. ঈসা ফিরে আসলে লোকেরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করলো; কারণ সকলে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।
41. আর দেখ, যায়ীর নামে এক ব্যক্তি আসলেন; তিনি মজলিস-খানার এক জন নেতা। তিনি ঈসার পায়ে পড়ে তাঁর বাড়িতে আসতে তাঁকে ফরিয়াদ করতে লাগলেন;
42. কারণ তাঁর একটি মাত্র কন্যা ছিল, বয়স কমবেশ বারো বছর, আর সে মৃতপ্রায় হয়েছিল। ঈসা যখন যাচ্ছিলেন, লোকেরা তাঁর উপরে চাপাচাপি করে পড়তে লাগল।
43. আর এক জন স্ত্রীলোক, যে বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে আক্রান্ত হয়েছিল, যে চিকিৎসকদের পিছনে সর্বস্ব ব্যয় করেও কারো দ্বারা সুস্থ হতে পারে নি,
44. সে পিছনের দিকে এসে তাঁর কাপড়ের প্রান্ত-ভাগটুকু স্পর্শ করলো; আর তৎক্ষণাৎ তার রক্তস্রাব বন্ধ হল।
45. তখন ঈসা বললেন, কে আমাকে স্পর্শ করলো? সকলে অস্বীকার করলে পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা বললেন, প্রভু, লোকেরা চাপাচাপি করে আপনার উপরে পড়ছে।